আফগানিস্তানের শিক্ষামন্ত্রী হাবিবুল্লাহ আগা আবারও আধুনিক শিক্ষার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে বলেছেন, আধুনিক প্রযুক্তির অভাবে আফগানিস্তানের আকাশসীমা সুরক্ষিত নয়।
পাকতিয়ার শাওয়াক জেলায় নবনির্মিত কয়েকটি বিদ্যালয় ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ধর্মীয় শিক্ষা আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য হলেও আধুনিক শিক্ষা আমাদের জন্য পানীয় জল ও খাদ্যের মতো অপরিহার্য।
শিক্ষামন্ত্রী হাবিবুল্লাহ আগা বলেন, ‘আজকের যুগে কেবল ক্যালাশনিকভ বা তরবারি দিয়ে আত্মরক্ষা করা সম্ভব নয়। ধর্ম ও মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে কামান, ড্রোন, শক্তিশালী বোমা ও যুদ্ধবিমান প্রয়োজন। কিন্তু এসব বোমা, বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র আধুনিক জ্ঞান ও শিক্ষা ছাড়া কীভাবে তৈরি হবে?’
তিনি ছাত্রছাত্রীদের আহ্বান জানান আধুনিক শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে ধর্ম ও দেশের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নির্মাণে সক্ষম হতে।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘ধর্মীয় শিক্ষা আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য ও তা আমাদের জন্য ফরজ। আমরা তা অবশ্যই অর্জন করব। তবে যেমন ধর্মীয় জ্ঞান জীবনব্যাপী লক্ষ্য, তেমনি আধুনিক শিক্ষা আমাদের জন্য ততটাই জরুরি, যেমন আমাদের দেশ পানির জন্য তৃষ্ণার্ত।’
এদিকে জাপান সরকারের আর্থিক সহায়তায় পাকতিয়ায় ১৮টি বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে, যার খরচ হয়েছে ১৯ কোটি ৬০ লাখ আফগানি। ভবনগুলো এখন ব্যবহার উপযোগী করা হয়েছে।
পাকতিয়ার শিক্ষা পরিচালক আবদুল কায়ূম ফারুকি বলেন, ‘প্রায় ১৯ কোটি ৬০ লাখ আফগানি ব্যয়ে এসব ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এ ব্যয় ছাত্র-শিক্ষক ও শিক্ষার খেদমতে ব্যয়িত হয়েছে।’
একই সঙ্গে পাকতিয়ার কিছু উপজাতীয় প্রবীণ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানান, যেন তারা দক্ষ শিক্ষক, ভবনবিহীন বিদ্যালয়ের জন্য স্কুল ভবন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সুবিধা সরবরাহ করে আধুনিক শিক্ষা শক্তিশালী করে।
উপজাতীয় প্রবীণ আকাল গুল বলেন, ‘ইমারাতে ইসলামিয়া যেন সঠিকভাবে বই প্রস্তুতের উদ্যোগ নেয়, যাতে ছাত্ররা কার্যকরভাবে প্রশিক্ষিত হতে পারে।’
অন্য উপজাতীয় প্রবীণ হামিশ বলেন, ‘মন্ত্রী যেসব কথা বলেছেন, তা বাস্তবায়ন হওয়া উচিত, কারণ আমাদের বই ও বিদ্যালয় প্রয়োজন।’
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পাকতিয়ার অর্ধেক বিদ্যালয়েরই কোনো ভবন নেই, ফলে ছাত্ররা খোলা আকাশের নিচে পড়াশোনা করে।