বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন বলেছেন, “আমি একা পারছি না। বিভিন্ন পর্যায়ে, বিশেষ করে সংসদেও আলেমদের সক্রিয় অংশগ্রহণ জরুরি।”
শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে অনুষ্ঠিত ‘মাশায়েখে বাংলাদেশের অবদান ও করণীয়’ শীর্ষক জাতীয় কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, “আমি অন্তর্বর্তী সরকারের ২২ জন উপদেষ্টার একজন। কিন্তু বাস্তবে আমি গরম পানির ডেকচিতে পড়ে আছি। আমার ডানে-বামে কেউ নেই সরকার পরিচালনার জন্য। সরকার চালাতে আরও মানুষ লাগবে— প্রশাসনে, বিচার বিভাগে, পুলিশে এবং অবশ্যই সংসদে আলেমদের প্রয়োজন রয়েছে। তবেই কোরআন-সুন্নাহভিত্তিক রাষ্ট্র কাঠামো গঠন সম্ভব হবে।”
তিনি আলেম সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “শুধু স্লোগান দিলে হবে না। জুলাই বিপ্লব আমাদের যে ঐতিহাসিক সুযোগ এনে দিয়েছে, তা কাজে লাগাতে হবে। দেশে কোন আইন চলবে, তা নির্ধারণের ক্ষমতা আলেম সমাজের হাতে থাকতে হবে।”
বিগত সরকারের সময় আলেমদের প্রতি অবিচার ও বঞ্চনার প্রসঙ্গ টেনে ড. খালিদ হোসেন বলেন, “এ কেবল এই সরকারের বিষয় নয়—যে কোনো সরকার যদি কোরআনবিরোধী আইন বাস্তবায়ন করতে চায়, দেশের জনগণ তা মেনে নেবে না।”
অনুষ্ঠানে ১১৫২ পৃষ্ঠার বিশাল গ্রন্থ ‘৩১৩ মাশায়েখে বাংলাদেশ’ এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়। বক্তারা বলেন, এই গ্রন্থে দেশের বরেণ্য আলেমদের জীবনী, প্রেরণা ও দিকনির্দেশনা উঠে এসেছে, যা বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের আলেম সমাজের পরিচিতি এবং ঐতিহ্যকে আরও সমৃদ্ধ করবে।
কনফারেন্সে দেশের বিশিষ্ট আলেম, পীর-মাশায়েখ, ওলামা এবং ইসলামী চিন্তাবিদরা উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা সরকার ও রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারণে আলেমদের ভূমিকা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।