পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এখনই সোচ্চার না হলে কাল তারা পাকিস্তানের পিছু নিলে আর কেউ অবশিষ্ট থাকবে না।
সোমবার জাতীয় পরিষদের এক অধিবেশনে ইরানে ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিলাওয়াল বলেন, “প্রথমে তারা ফিলিস্তিনিদের পিছু নিল, আমরা চুপ থাকলাম। এরপর লেবানন, ইয়েমেন — তবুও আমরা কিছু বললাম না। এখন তারা ইরানের পিছু নিয়েছে। আর যদি এবারও আমরা চুপ থাকি, কাল যখন তারা আমাদের পিছু নেবে, তখন আর কেউ থাকবে না।”
তিনি বলেন, ইসরায়েলের এই আগ্রাসন বন্ধ না হলে তা বিশ্বকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
কাশ্মীর প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিলাওয়াল বলেন, “ভারত আজ ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সস্তা অনুকরণ করছে।” তিনি দাবি করেন, কাশ্মীরের পেহেলগাঁওয়ে হামলার পর ভারত সীমান্ত অতিক্রম করে পাকিস্তানে হামলা চালায়। জবাবে পাকিস্তান ‘অপারেশন বুনিয়ান-উম-মারসুস’ চালায়, যেখানে ৬টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান (তিনটি রাফায়েলসহ) ও ডজনখানেক ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়।
বিলাওয়াল বলেন, “আল্লাহর রহমতে পাকিস্তান সামরিক, কূটনৈতিক এবং প্রচারযুদ্ধে ভারতকে হারিয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে এখন কাশ্মীরের বিষয়ে পাকিস্তানের অবস্থান সমর্থন পাচ্ছে।”
তিনি জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছেন, যা প্রমাণ করে বিশ্বের সহানুভূতি এখন কাশ্মীরিদের পক্ষে।
সিন্ধু পানি চুক্তি নিয়ে ভারত হুমকি দিলে তা যুদ্ধের কারণ হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন বিলাওয়াল। তিনি বলেন, “এই চুক্তি স্থগিত করা জাতিসংঘ সনদের লঙ্ঘন। পাকিস্তানের পানি প্রবাহ বন্ধ করার হুমকি দিলে পাকিস্তান বাধ্য হবে যুদ্ধ করতে।”
বিলাওয়ালের বক্তব্যের সময় বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যরা হট্টগোল শুরু করলে তিনি স্পিকারকে বলেন, “জনাব স্পিকার, তাদের উপেক্ষা করুন। জনগণ তো আগেই তা করে ফেলেছে।”
শেষে তিনি বলেন, “যারা ভারতের এজেন্ট হিসেবে সিন্ধু পানি চুক্তি নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে, তাদের সামনে দুটি পথ — চুক্তিকে সম্মান করা অথবা পরিণতির জন্য প্রস্তুত থাকা।”
সূত্র: জিও নিউজ, দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল