কবে বাসায় ফিরবেন ওবায়দুল কাদের, সিদ্ধান্ত আজ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এখন পুরোপুরি সুস্থ। পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও বিশ্রামের প্রয়োজনে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। তবে আজ রোববার (১৯ ডিসেম্বর) সিদ্ধান্ত আসতে পারে তিনি কবে বাসায় ফিরবেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বক্ষব্যাধি বিভাগের চেয়ারম্যান ও মেডিকেল বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক ডা. আতিকুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদেরের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আজ দুপুর ১২টায় আবারও মেডিকেল বোর্ডের বৈঠক বসেছে। বৈঠকে তার বাসায় ফেরার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আতিকুর রহমান বলেন, ওবায়দুল কাদের পুরোপুরি সুস্থ। পরীক্ষা-নিরীক্ষা একটি চলমান প্রক্রিয়া। উনার সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। রিপোর্ট ভালো আসছে।

মেডিকেল বোর্ডের এই চিকিৎসক আরও বলেন, তিনি রুটিনমাফিক খাওয়া-দাওয়া করছেন। হাসপাতালের কেবিনের মধ্যে একটু চলাফেরা করছেন। বুকে ব্যথা, কিডনি সমস্যা, ডায়াবেটিস অনেকটাই নরমাল। তিনি ঠাণ্ডাজনিত কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সেটা ভালো।

ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডে নেতৃত্বে দিচ্ছেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ। অন্যদের মধ্যে রয়েছেন- প্রো-ভিসি এ কে এম মোশাররফ হোসেন, আবু নাছের রিজভী, অধ্যাপক ফজলুর রহমান, অধ্যাপক আতিকুর রহমান, অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক আরাফাত ও জাহিদ হোসেন।

গত ১৪ ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে বুকে ব্যথা নিয়ে বিএসএমএমইউতে ভর্তি হন ওবায়দুল কাদের। তিনি হৃদরোগ বিভাগের অধ্যাপক ফজলুর রহমানের অধীনে ৩১২ নম্বর কেবিনে আছেন। ওই সময় বিএসএমএমইউয়ের হৃদরোগ বিভাগের অধ্যাপক ডা. মোস্তফা জামান বলেছিলেন, ওবায়দুল কাদের আগে থেকেই হৃদরোগজনিত সমস্যায় ভুগছেন। বর্তমানে ফুসফুসে পানি জমে শ্বাসকষ্ট ও কাশি হচ্ছে।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

গণতন্ত্র নিয়ে আপনাদের এত মাথাব্যথা কেন, কূটনৈতিকদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের

নূর নিউজ

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এটা একটা মাফিয়ার দেশে পরিণত হয়েছে। জনগণের ভোটে নির্বাচত নয় এই সরকার আজকে জোর করে ক্ষমতা দখল করে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে। তিনি আরও বলেন, আমরা যখন চুরি-চামারির কথা বলি, গায়ে লাগে তাদের। গায়ে লাগার কিছু নাই, চুরি করলে মাথা নিচু করে থাকতে হবে। সময় আসছে, যখন তাদের মাথা নিচু করে এ দেশ থেকে চলে যেতে হবে। আজ শনিবার দুপুরে ঝিনাইদহে জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ফখরুল বলেন, প্রত্যেকটি চোরের-ডাকাতের বিচার হবে এ দেশে। তারা বিচার বিভাগকে ধ্বংস করেছে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। প্রশাসনকে দলীয়করণ করেছে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। তাই আওয়ামী লীগকে আর ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া যাবে না। তিনি বলেন, এরা কোনো নির্বাচিত সরকার নয়। এরা কোনো নির্বাচনে জয় লাভ করতে পারেনি। শুধুমাত্র রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে বিভিন্ন আধিপত্যবাদী, পরাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে জোর করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। আমাদের সমস্ত স্বপ্ন, আশা-আকাঙ্ক্ষা আছে তা ধ্বংস করে দিচ্ছে। ৬ শতাধিক নেতা-কর্মীকে গুম করেছে। ৩৫ লাখের বেশি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। তারা একই কায়দায় এ দেশ শাসন করতে চায়, বিরোধী সব মতকে দমন করতে চায়, গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষাকে ধ্বংস করতে চায়। আবারও তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রক্ত ঝরিয়েছে। আমাদের ছাত্রদলের নেতাদের নির্মমভাবে পিটিয়ে-গুলি করে আহত করেছে। খুলনায় গত পরশু তারা মিটিংয়ে আক্রমণ করেছে। বিভিন্ন জায়গায় তারা সন্ত্রাস করে, ভয় দেখিয়ে, রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে আবারও মানুষের অধিকার আদায়ের যে সংগ্রাম তা ধ্বংস করে দিতে চায়। এবার জেগে উঠছে মানুষ। আমাদের নেতা তারেক রহমান যে পতাকা উত্তোলন করেছেন তা এ দেশের মানুষের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের পতাকা। যে পতাকা শহীদ জিয়াউর রহমান তুলে ধরেছিলেন, মানুষের সামনে নিয়ে এসেছিলেন; বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ, বলেন তিনি। আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমরা কোথাও চাকরি পাই না। আমাদের ছেলে-মেয়েরা পাস করে যায় কিন্তু তাদের চাকরি দেওয়া হয় না। অথচ ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে বলেছিল, ঘরে ঘরে চাকরি দেবে; ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবে; বিনা পয়সায় সার দেবে। যেখানে যাবে শুধু পয়সা। পুলিশ কনস্টেবলের চাকরি পেতে হলে ২০ লাখ টাকা কমপক্ষে লাগে, তাও পাবেন না যদি আওয়ামী লীগ না হন। এ দেশকে তারা লুটপাটের রাজত্ব বানিয়েছে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে সত্যিকার অর্থে জনগণের রাষ্ট্রে পরিণত করার আহ্বান জানান তিনি। বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, এই দেশে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আর কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। তাদের অবিলম্বে পদত্যাগ এবং নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সেই সরকার যে নির্বাচন কমিশন গঠন করবে, সেই কমিশনের পরিচালনায় সবার অংশগ্রহণে একটি নির্বাচন হবে।

নূর নিউজ

বাংলাদেশে এসে যা বললেন ডোনাল্ড লু

নূর নিউজ