দাফনের সাড়ে ৫ মাস পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন

নূর নিউজ: মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে দাফনের সাড়ে ৫ মাস পর ময়নাতদন্তের জন্য তাহমিনা আক্তার ঝুমুর নামের এক গৃহবধূর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।

রোববার (১০ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে মাওয়া চৌরাস্তা সংলগ্ন পশ্চিম কুমারভোগ কবরস্থানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইলিয়াস শিকদারের উপস্থিতিতে কবর হতে লাশ উত্তোলন করা হয়। তাহমিনা মেদিনী মণ্ডল আনোয়ার চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবু নাছের লিমনের স্ত্রী।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতবছরের ২৪ জুলাই রাতে মৃত্যুর পর ৫-৬ জন লোক নিয়ে রাত আড়াইটার দিকে পশ্চিম কুমারভোগ কবরস্থানে তাহমিনার লাশ দাফন করে স্বামী লিমন। ঘটনার সময় লিমন ও তাহমিনার দুই পুত্র তাদের নানাবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল।

সংশ্লিষ্ট সূত্র ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শিক্ষক লিমন প্রায় ১৬-১৭ বছর পূর্বে জেলার শ্রীনগরের সামষপুর গ্রামের জয়নাল খানের মেয়ে তাহমিনা আক্তার ঝুমুরের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। তাদের সংসারে মোঃ আনাছ খান (১৪) ও মোঃ আহাদ খান (৭) নামে দুটি পুত্র সন্তান রয়েছে। গত ১ বছর পূর্বে থেকে লিমন, একই গ্রামের ইসমাইল সরকারের স্ত্রী দিলরুবা আক্তারের সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে।

তাদের এ অবৈধ সম্পর্ক এলাকায় জানাজানি হলে, লিমনের স্ত্রী তাহমিনা বিষয়টি লিমনকে জিজ্ঞাসা করলে ও বাধা দিলে তখন থেকে স্ত্রীকে নানাভাবে অত্যাচার করে আসছিল লিমন।

গত ২৪ জুলাই লিমন তার পরকীয়া প্রেমিকা দিলরুবাকে নিয়ে তার নিজ বাড়িতে যায়। বিষয়টি মেনে না নিয়ে লিমনের স্ত্রী তাহমিনা, পরকীয়া প্রেমিকা দিলরুবাকে নিয়ে বাড়ি থেকে নেমে যেতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ঘটনার দিন বিকেল সাড়ে ৫টার লিমন তার স্ত্রী তাহমিনার গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বলে জানান তাহমিনার ভাই কামরুল।

তিনি আরো বলেন, কাউকে কিছু না জানিয়ে ১৫/২০ জন লোক মিলে রাত আড়াইটার দিকে পশ্চিম কুমারভোগ কবরস্থানে লাশ দাফন করে। এদিকে স্বজনরা তাহমিনার মৃত্যু সংবাদ জানতে পেরে লিমনের কাছে মৃতুর কারণ জানতে চাইলে তিনি কোন সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়। মামলায় নিহত তাহমিনার ভাই মো.কামরুজ্জামান খান বাদী হয়। মুন্সীগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-৬ এ দ.বি. ৩২০/৩০২/৩৪ ধারায় গত ১০ আক্টোবর একটি সিআর মামলা দায়ের করেন মামলা নং ৮১। লৌহজং থানার ওসি মো. আলমগীর হোসাইন বলেন, গত মাসে মামলাটি আদালত হতে থানায় আসে। আজ ১০ জানুয়ারি রবিবার দুপুর ১টার দিকে ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইলিয়াশ সিকদারের উপস্থিতিতে নিহত তাহমিনা আক্তার ঝুমুরের লাশ কবর হতে তুলে ময়না তদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারের হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, তাহমিনা আক্তার ঝুমুরকে দাফন, কাফন ও গোসল করার সময় তার গলায় কলো দাগ দেখতে পেয়ে মোবাইলে ছবি তুলে রাখে। এ থেকে বিষয়টি হত্যা বলেই মনে করছে নিহতের পরিবার।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

হাটহাজারীতে ইফতারের সময় বৃদ্ধ বাবাকে কোপাল ছেলে!

আনসারুল হক

হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রের ঝুলন্ত লা’শ

নূর নিউজ

চট্টগ্রামের অগ্নিকাণ্ডে সেনাবাহিনী মোতায়েন

নূর নিউজ