‘দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার দায় নির্বাচন কমিশনের’

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়েছে, এর দায় নির্বাচন কমিশনের।’ সাংবিধানিক সংস্থা হলেও প্রধান কমিশনার মেরুদন্ডহীন বলে মন্তব্য করেন তিনি। বর্তমান কমিশনের কর্মকাণ্ডে তাদের অযোগ্যতা ও অসততার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বলেও জানান তিনি।

আজ (১০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের প্রধান অংশীজন হচ্ছে রাজনৈতিক দলসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্যরা। কিন্তু নির্বাচন কমিশন আইন সংশোধনে রাজনৈতিকদলসহ অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করার প্রয়োজন বোধ করেনি। ইসির এ উদ্যোগে শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলসমূহকেই ক্ষুব্ধ করেনি। খোদ নির্বাচন কমিশনের একজন সদস্যও সুস্পষ্টভাবে আপত্তি জানিয়েছেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায় যে প্রাথমিক খসড়ায় প্রার্থিতা বাতিল ও জরিমানার বিষয়টি ছিল। পরে বাদ দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় কমিশনের অনেক সিদ্ধান্ত সম্পর্কে খোদ কমিশনাররা পর্যন্ত অজ্ঞাত থাকেন। নিঃসন্দেহে এটা নির্বাচন কমিশনের স্বেচ্ছাচারিতা। এ ধরনের স্বেচ্ছাচারিতাই মূলত সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাপনাকে ধ্বংস করে দিয়েছে।

তিনি বলেন, রকিবউদ্দিন কমিশন থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত নির্বাচনী আইনে যে পরিবর্তন হয়েছে সেটার দুইটা দিক আছে। একটা হচ্ছে নির্বাচন ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ধ্বংস করা, আরেকটা হচ্ছে কমিশনকে দুর্বল ও অকার্যকর করা। ইতোমধ্যে বর্তমান কমিশন তার বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। সবচেয়ে পরিতাপের বিষয় হলো, এ সময় যে কাজে তাদের একান্তভাবে নিবিষ্ট থাকা দরকার সেই আরপিওসহ বিদ্যমান নির্বাচনী আইনগুলোর সঠিক ও কঠোর প্রয়োগ না করে কমিশন অকাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে

এ জাতীয় আরো সংবাদ

প্রশাসনে তিন লাখ ৮০ হাজার পদ শূন্য

আনসারুল হক

তাৎপর্যময় জিলহজের প্রথম দশক

আনসারুল হক

‘আমরা রণক্ষেত্রের সাথী’, ইনুকে বললেন হাসিনা

আনসারুল হক