পাঠাও’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ নিউ ইয়র্কে খুন

নিউ ইয়র্ক সংবাদদাতাঃ
নিউ ইয়র্কে নৃশংসভাবে খুন হয়েছে মেধাবী বাংলাদেশি তরুণ উদ্যোক্তা ফাহিম সালেহ। ম্যানহাটনের লোয়ার ইস্টসাইডে নিজ এপার্টমেন্ট থেকে তার খণ্ড-বিখণ্ড মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় রাইডশেয়ারিং কোম্পানি পাঠাও’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা। যুক্তরাষ্ট্রের বেন্টলি ইউনিভার্সিটিতে ইনফরমেশন টেকনোলজি নিয়ে পড়াশোনা করা ফাহিম গত বছর প্রায় ২২ লাখ মার্কিন ডলার ব্যয়ে ম্যানহাটনে অত্যাধুনিক এই এপার্টমেন্ট কিনেছিলেন বলে জানা গেছে। পড়াশোনা শেষে ২০১৪ সালে দেশে ফিরে তিনি পাঠাও প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়ায় যুক্ত হন। পাঠাওয়ের মতো দক্ষিণ আমেরিকার দেশ কলম্বিয়া এবং আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় আরো দু’টি রাইড শেয়ারিং কোম্পানির সহ-প্রতিষ্ঠাতা তিনি।

নিউ ইয়র্ক পুলিশের তরফ থেকে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ৯১১ নম্বরের এক টেলিফোন কলের মাধ্যমে পুলিশ প্রথম এই হত্যাকাণ্ডের কথা জানতে পারে। এরপর পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। সেখানে ঢুকেই পুলিশ দেখতে পায় যে, অত্যাধুনিক ওই কন্ডোমেনিয়াম ভবনের সপ্তম তলায় ফাহিমের এপার্টমেন্টের ড্রয়িং রুমের মেঝেতে একটি মস্তকবিহীন দেহ পড়ে আছে। এমনকি হাত এবং পাগুলোও শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন। মৃতদেহের পাশেই পড়েছিল একটি ইলেক্ট্রিক করাত। এছাড়া কয়েকটি প্লাস্টিক ব্যাগে ফাহিমের খণ্ডবিখণ্ড দেহের কয়েকটি অংশ পাওয়া যায়।

একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ওই কন্ডোমেনিয়াম ভবনের সিসিটিভি ভিডিও ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে, ফাহিম গত সোমবার দুপুর ১টা ৪০ মিনিটের সময় সর্বশেষ তার এপার্টমেন্টে প্রবেশ করেন। এ সময় সপ্তম তলায় যাওয়ার জন্য তিনি যখন নিচতলা থেকে এলিভেটর বা লিফটে চড়েন তখন আরো এক ব্যক্তি লিফটে উঠেন। স্যুট পরা লোকটির মুখে মাস্ক এবং হাতে গ্লাভস পরা ছিল এবং সে একটি ব্রিফকেস বহন করছিল, ফাহিম সন্দেহের দৃষ্টিতে অচেনা ওই লোকটির দিকে তাকিয়েছেন বলেও ভিডিওতে দেখা গেছে। এরপর সে ফাহিমের সঙ্গেই সপ্তম তলায় নেমে পড়েন এবং ফাহিম তার এপার্টমেন্টের দরজা খোলা মাত্রই লোকটি তার ওপর আক্রমণ চালায় এবং ধাক্কা দিয়ে তাকে এপার্টমেন্টের ভেতরে ঢুকিয়ে ফেলে। কিন্তু এরপর কী ঘটেছে তা আর সিসি ফুটেজে দেখা যায়নি।

পুলিশ বলছে, প্রথমিকভাবে সবকিছু দেখেশুনে মনে হচ্ছে, হত্যাকারী একজন পেশাদার খুনি। ফাহিমের মৃতদেহটি ইলেক্ট্রিক করাত দিয়ে কেটে টুকরো টুকরো করা হলেও মেঝেতে কোনো রক্তের দাগ ছিল না।

এদিকে একাধিক সূত্রে জানা গেছে যে, গোকোডো নামে নাইজেরিয়ার একটি রাইড শেয়ারিং কোম্পানি এবং পিকআপ নামে কলম্বিয়ার আরেকটি রাইডশেয়ারিং কোম্পানিরও তিনি অংশীদার। এরমধ্যে ব্যবস্থাপনার দুর্বলতার কারণে গোকোডো বড় ধরনের বিপর্যয়ের কবলে পড়লে গত বছরের শেষদিকে ফাহিম কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী হিসাবে দায়িত্ব নেন। এছাড়া ইন্দোনেশিয়াতেও একই ধরনের ব্যবসায় তার সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে জানা গেছে।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

নেতানিয়াহুকে গাজা চুক্তি ‘চূড়ান্ত’ করতে বলেছেন বাইডেন: হোয়াইট হাউস

নূর নিউজ

ভারতকে হুঁশিয়ারি পাকিস্তান সেনাপ্রধানের

নূর নিউজ

গোমাংশ খাওয়ার পক্ষে বললেন বিজেপির মন্ত্রী

আনসারুল হক