পিআরসহ ৫ দফা দাবিতে ২৬ সেপ্টেম্বর জেলা-উপজেলায় মিছিল করবে ইসলামী আন্দোলন 

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ বলেছেন, পুরোনো রাজনৈতিক বন্দোবস্ত ফ্যাসিস্ট তৈরি করেছিলো। জুলাই অভ্যুত্থানের পরে আমরা সেই বন্দোবস্ত বহাল রাখতে পারি না। তাহলে জুলাইয়ের শহীদদের রক্তের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়। তাই পুরোনো রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বাতিল করতেই হবে। আর সেজন্য প্রথম ও জরুরী পদক্ষেপ হলো পিআর পদ্ধতির নির্বাচন। পিআর হলেই ভোটে নয়-ছয় করে কেউ সংসদের অসীম ক্ষমতার মালিকও হতে পারবে না, সংবিধান কাটা-ছেড়া করে স্বৈরতন্ত্রও প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না।

আজ ২৩ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত নিয়মিত বৈঠকে দলের মহাসচিব বলেন, এত রক্তের নজরানায় কেনা জুলাই অভ্যুত্থানের সনদের আইনী ভিত্তির জন্য এবং গণহত্যাকারীর বিচারের জন্য আবারো রাজপথে মিছিল করতে হবে, আন্দোলন করতে হবে তা আমরা কল্পনাও করতে পারি নাই। কিন্তু এই সরকারের অদূরদর্শী চিন্তা ও আপোষকামী মনোভাবের কারণে আমাদের সেই পথে হাটতে হচ্ছে। আমরা বুঝতে পারি না, যে বন্দোবস্ত দেশে বারংবার স্বৈরতন্ত্র জন্ম দিয়েছে, যেই বন্দোবস্ত হাসিনার মতো ফ্যাসিস্ট জন্ম দিয়েছে সেই বন্দোবস্তে নির্বাচন আয়োজন করার এতো তাকিদ কোথা থেকে আসে? এক বছর অতিক্রান্ত হতে না হতেও বাচ্চাদের রক্ত ও জীবনকে এভাবে উপেক্ষা করার এই দৃশ্য আমরা সহ্য করতে পারছি না। তাই সরকারকে বলবো, অবিলম্বে জুলাই সনদের আইনী ভিত্তি নিশ্চিত করুন, গণহত্যার সাথে জড়িতদের বিচার করুন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজনের ব্যবস্থা নিন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিন এবং ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচারের আওতায় আনুন, বিচারকালীন তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ রাখুন।

অধ্যক্ষ ইউনুস আহমদ বলেন, এগুলো কোন রাজনীতি না, কোন দলের বিপক্ষে অবস্থান না বরং এগুলো জনতার দাবী। জনতার এই দাবী নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সারা দেশের সকল জেলা ও উপজেলায় গণমিছিল করবে। আমরা আশা করি, সরকারের বোধদয় হবে এবং জুলাইয়ের রক্ত স্বার্থকতা পাবে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম, হাফেজ মাওলানা ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, সহকারী মহাসচিব প্রকৌশলী কেএম আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ইফতেখার তারিক, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মুফতী কেফায়েতুল্লাহ কাশফী, কৃষি ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান, সংখ্যালঘু বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ মকবুল হোসাইন, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী দেলাওয়ার হোসেন সাকী, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী মোস্তফা কামাল, ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম রুহুল আমীন, সহ-প্রচার ও দাওয়াহ্ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা কেএম শরীয়াতুল্লাহ, সহ-দফতর সম্পাদক এডভোকেট বরকতুল্লাহ লতিফ, কেন্দ্রীয় সদস্য ডা. শহিদুল ইসলাম।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

নিত্যব্যবহার্যসহ সব পণ্যের দামে আগুন, নাভিশ্বাস

নূর নিউজ

বিকাশে অর্থ সহায়তা না পাঠানোর অনুরোধ তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের

নূর নিউজ

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন ফরিদুল হক খান

আনসারুল হক