‘পেশী শক্তিকে পুঁজি করে আর কোন রাজনীতি আমরা দেখতে চাই না’

মঙ্গলবার রাতে (১৮ ফেব্রুয়ারি) কুয়েটে ছাত্রদের উপর হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের উদ্যোগে পৃথক তিনটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে

মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তাগণ বলেন, আমরা যে উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে গত কয়েকদিন পূর্বে এ দেশ স্বাধীন করেছি সেই উদ্দেশ্য আজ বিলুপ্তপ্রায়। ক্যাম্পাসগুলোতে এক ফ্যাসিবাদ বিলুপ্তির পর আরেক ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি শুনতে পাচ্ছি।আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য হল যেখানেই জুলুম সেখানেই প্রতিবাদ। আমরা কোন দল বা ব্যক্তির বিরুদ্ধবাদী শক্তি নই। আমাদের জোর দাবি হলো, আজকে যাদের হাতে আমার কুয়েটের ভাইদের রক্ত ঝরেছে তাদেরকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।
তারা আরো বলেন, শিক্ষা সন্ত্রাস একসাথে চলতে পারে না। পেশী শক্তিকে পুঁজি করে আর কোন রাজনীতি আমরা দেখতে চাই না । সুতরাং আগামী দিনে আদর্শ ও প্রশিক্ষণ ভিত্তিক দক্ষ ছাত্র রাজনীতির কোন বিকল্প নেই।

ঢাকা মহানগর পশ্চিম

রাত আটটায় ঢাকার মোহাম্মদপুরে ঢাকা মহানগর পশ্চিমের উদ্যোগে শাখা সভাপতি সাখাওয়াত হুসাইন এর সভাপতিত্বে মিছিলে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুহাম্মাদ দিদারুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় বায়তুলমাহ সম্পাদক মোঃ রবিউল ইসলাম, কেন্দ্রীয় পাঠাগার সম্পাদক মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ, কেন্দ্রীয় মাদরাসা বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ মুশতাক আহমদসহ মহানগরের অন্যান্য দায়িত্বশীলবৃন্দ।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ/পূর্ব

রাত দশটার দিকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও পূর্বের উদ্যোগে শাখার সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি পরিষদ সদস্য মুহাম্মাদ আব্দুল আজিজ, আশরাফুল ইসলাম সাদ, কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ সম্পাদক মুহাম্মদ আবদুল হাই, যুব মজলিস ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ নাইম উদ্দীন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ প্রমুখ।

ঢাকা মহানগর উত্তর

রাত দশটায় ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে উত্তরায় শাখার পাঠাগার সম্পাদক মুহাম্মাদ আবু হুরায়রার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগর উত্তরের প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতি নেয়ামতুল্লাহ আমীন, মাওলানা ফজলুল হক সিদ্দিকী, যুব মজলিস ঢাকা মহানগর উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মাহমুদ হুজায়ফা, ছাত্র মজলিস ঢাকা মহানগর উত্তরের প্রচার সম্পাদক মুহাম্মদ হুজায়ফা, মুহাম্মাদ তোফাজ্জল হুসাইন প্রমুখ।

আহতদের পাশে খুলনা খেলাফত ছাত্র মজলিস

আজ রাত আটটার দিকে সন্ত্রাসী হামলায় আহত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিতে খুলনা মেডিকেল কলেজে যান বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের দায়িত্বশীলবৃন্দ। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মাওলানা মুহিব্বুল মুরসালিন, বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস খুলনা জেলার সভাপতি আরিফুল ইসলাম কাশফী, খুলনা মহানগর সভাপতি রিদওয়ান আমীন, সাংগঠনিক সম্পাদক তাহসিন আহমাদ প্রমুখ।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এটা একটা মাফিয়ার দেশে পরিণত হয়েছে। জনগণের ভোটে নির্বাচত নয় এই সরকার আজকে জোর করে ক্ষমতা দখল করে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে। তিনি আরও বলেন, আমরা যখন চুরি-চামারির কথা বলি, গায়ে লাগে তাদের। গায়ে লাগার কিছু নাই, চুরি করলে মাথা নিচু করে থাকতে হবে। সময় আসছে, যখন তাদের মাথা নিচু করে এ দেশ থেকে চলে যেতে হবে। আজ শনিবার দুপুরে ঝিনাইদহে জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ফখরুল বলেন, প্রত্যেকটি চোরের-ডাকাতের বিচার হবে এ দেশে। তারা বিচার বিভাগকে ধ্বংস করেছে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। প্রশাসনকে দলীয়করণ করেছে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। তাই আওয়ামী লীগকে আর ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া যাবে না। তিনি বলেন, এরা কোনো নির্বাচিত সরকার নয়। এরা কোনো নির্বাচনে জয় লাভ করতে পারেনি। শুধুমাত্র রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে বিভিন্ন আধিপত্যবাদী, পরাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে জোর করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। আমাদের সমস্ত স্বপ্ন, আশা-আকাঙ্ক্ষা আছে তা ধ্বংস করে দিচ্ছে। ৬ শতাধিক নেতা-কর্মীকে গুম করেছে। ৩৫ লাখের বেশি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। তারা একই কায়দায় এ দেশ শাসন করতে চায়, বিরোধী সব মতকে দমন করতে চায়, গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষাকে ধ্বংস করতে চায়। আবারও তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রক্ত ঝরিয়েছে। আমাদের ছাত্রদলের নেতাদের নির্মমভাবে পিটিয়ে-গুলি করে আহত করেছে। খুলনায় গত পরশু তারা মিটিংয়ে আক্রমণ করেছে। বিভিন্ন জায়গায় তারা সন্ত্রাস করে, ভয় দেখিয়ে, রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে আবারও মানুষের অধিকার আদায়ের যে সংগ্রাম তা ধ্বংস করে দিতে চায়। এবার জেগে উঠছে মানুষ। আমাদের নেতা তারেক রহমান যে পতাকা উত্তোলন করেছেন তা এ দেশের মানুষের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের পতাকা। যে পতাকা শহীদ জিয়াউর রহমান তুলে ধরেছিলেন, মানুষের সামনে নিয়ে এসেছিলেন; বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ, বলেন তিনি। আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমরা কোথাও চাকরি পাই না। আমাদের ছেলে-মেয়েরা পাস করে যায় কিন্তু তাদের চাকরি দেওয়া হয় না। অথচ ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে বলেছিল, ঘরে ঘরে চাকরি দেবে; ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবে; বিনা পয়সায় সার দেবে। যেখানে যাবে শুধু পয়সা। পুলিশ কনস্টেবলের চাকরি পেতে হলে ২০ লাখ টাকা কমপক্ষে লাগে, তাও পাবেন না যদি আওয়ামী লীগ না হন। এ দেশকে তারা লুটপাটের রাজত্ব বানিয়েছে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে সত্যিকার অর্থে জনগণের রাষ্ট্রে পরিণত করার আহ্বান জানান তিনি। বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, এই দেশে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আর কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। তাদের অবিলম্বে পদত্যাগ এবং নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সেই সরকার যে নির্বাচন কমিশন গঠন করবে, সেই কমিশনের পরিচালনায় সবার অংশগ্রহণে একটি নির্বাচন হবে।

নূর নিউজ

বিমানবন্দর থেকে আবদুল মুহিত গ্রেপ্তার

আনসারুল হক

নির্বাচনের পরিবেশ ও আমাদের কার্যক্রম দেখে বিদেশিরা সন্তুষ্ট

নূর নিউজ