পৌর মেয়রের মামলায় কারাগারে ছেলে

নূর নিউজ: ৭০ বছর বয়সে তৃতীয় বিয়ে করে আলোচিত রাজশাহীর বাগামারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ পৌর মেয়র আবদুল মালেকের দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন মেয়রের ছেলে কামরুল হাসান (২৮)। গতকাল বুধবার রাতে ভবানীগঞ্জের বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স এলাকা থেকে বাগমারা থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতাকল রাতে ভবানীগঞ্জের বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স এলাকায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন পৌর মেয়র আবদুল মালেকের ছেলে কামরুল হাসান। এ সময় সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ এপ্রিল পারিবারিক কলহের জেরে ছেলে কামরুল ও প্রথম স্ত্রী কহিনুর বেগমের হাতে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতের শিকার হন পৌর মেয়র আবদুল মালেক। ওই সন্ধ্যার তাকে মারধর করা হলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তাকে বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য পরের দিন তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেই স্ত্রী ও ছেলেমেয়ের নামে মামলা দায়ের করেন মেয়র। মামলা দায়ের করার দিনই স্ত্রী কহিনুর বেগম ও তার মেয়েকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু তখন থেকে কামরুল পলাতক ছিল। এ ছাড়া ঘটনার পর প্রথম স্ত্রী কোহিনুর বেগমকে ডিভোর্সও দেন মেয়র। বর্তমানে কোহিনুর বেগম ও তার মেয়ে জামিনে রয়েছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে, গত ২৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় নুপুর আক্তার নামের এক মেয়েকে তৃতীয় বিয়ে করেন মেয়র আবদুল মালেক। পরে বিয়ের করার একটি ছবি দিয়ে মেয়র নিজের ফেসবুক আইডিতে স্ট্যাটাসে নতুন জীবন শুরুর কথা জানিয়ে সবার দোয়া চান। তার সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।

এর আগে মেয়র আবদুল মালেক এক নাবালিকাকে (দূর সম্পর্কের নাতনী) বিয়ে করে সমালোচনার মুখে পড়েন। পরে পরিবারের চাপে তিনি ওই স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে বিষয়টি সমাধান করে নেন।

বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, পৌর মেয়রের ছেলে কামরুল হাসান রাতে থানা হেফাজতেই ছিলেন। পরে তাকে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

হজ নিবন্ধনের বাকি টাকা ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ

নূর নিউজ

করোনায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৮৯২

আনসারুল হক

ডিএমপির ২১ পরিদর্শককে বদলি

আনসারুল হক