যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের আসন্ন যৌথ সামরিক মহড়াকে ‘বেপরোয়া শক্তি প্রদর্শন’ আখ্যা দিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং। তিনি সতর্ক করে বলেন, এই পদক্ষেপ পরিস্থিতিকে আরো ‘গভীর বিপর্যয়ের’ দিকে ঠেলে দিতে পারে। রোববার দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ এ তথ্য প্রকাশ করে।
সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু দ্বীপ উপকূলে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সেনারা যৌথ মহড়ায় অংশ নেবে। এতে নৌ, বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা মহড়া অন্তর্ভুক্ত থাকবে। উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকির মোকাবিলায় প্রস্তুতি বাড়ানোই এর মূল লক্ষ্য। বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রায় ২৮ হাজার ৫০০ মার্কিন সেনা অবস্থান করছে। এ ছাড়াও দুই দেশ যৌথভাবে একটি টেবিলটপ মহড়াও পরিচালনা করবে।
কিম ইয়ো জং এক বিবৃতিতে বলেন, মিত্রদের সীমান্তঘেঁষা এ শক্তি প্রদর্শন ‘ভুল কৌশল’ এবং এর ‘খারাপ পরিণতি অনিবার্যভাবে তাদেরই ভোগ করতে হবে’।
পিয়ংইয়ং বরাবরই যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক মহড়াকে সরাসরি আক্রমণের প্রস্তুতি হিসেবে বিবেচনা করে আসছে। সাম্প্রতিক এই সতর্কবার্তা এসেছে এমন এক সময়, যখন কিম জং উন নিজে একটি অস্ত্র গবেষণা কেন্দ্র পরিদর্শন করে স্পষ্ট জানিয়েছেন— উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক ও প্রচলিত সামরিক সক্ষমতা একসাথে জোরদার করার নীতি অব্যাহত রাখবে।
২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর উত্তর কোরিয়া ঘোষণা করে, তারা আর কখনো পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগ করবে না। দেশটি এখন নিজেকে একটি ‘অপরিবর্তনীয়’ পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র হিসেবে তুলে ধরছে।
ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে কিম জং উন আরও সাহসী হয়েছেন। মস্কোর পক্ষে যুদ্ধ করতে হাজার হাজার সৈন্য পাঠিয়ে রাশিয়ার কাছ থেকে কৌশলগত সমর্থন নিশ্চিত করেছেন তিনি। গত বছর ভ্লাদিমির পুতিনের উত্তর কোরিয়া সফরের সময় মস্কো ও পিয়ংইয়ং পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তিও স্বাক্ষর করে।
সূত্র: আল-জাজিরা, রয়টার্স