লক্ষ্মীপুরে শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় মাদরাসাকে ঘিরে মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

লক্ষ্মীপুর জেলার একটি মাদরাসায় হাফেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সানিমের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং কিছু আঞ্চলিক সংবাদমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। মাদরাসা কর্তৃপক্ষের দাবি, এই মৃত্যুর ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে একটি কুচক্রী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে।

ঘটনার দিন মঙ্গলবার সকালে ক্লাস চলাকালে সানিম পূর্বের পড়া সঠিকভাবে না পারায় শিক্ষক তাকে কয়েকটি বেত্রাঘাত করেন এবং ক্লাসরুমের বাইরে দাঁড়িয়ে পড়াশোনার নির্দেশ দেন। সকাল ৮টায় ক্লাস ছুটি হলে সে অন্যান্য ছাত্রদের সঙ্গে নাস্তা করে ও বিশ্রামে যায়। বেলা ১২টায় পুনরায় ক্লাসে অংশগ্রহণ করে এবং পড়া শুনায়।

দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে যোহরের নামাজের বিরতির সময় সানিম নামাজে অংশ নেয়। পরে আনুমানিক ২টা ১৫ মিনিটে খাওয়ার সময় সে খাবারের রুমে এসে কিছুক্ষণ অবস্থান করে। এরপর গামছা হাতে টয়লেটের দিকে যায়। কিছু সময় পর টয়লেটের দরজা দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকায় সহপাঠীরা দরজা খুলে দেখে সে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে শিক্ষক ও প্রশাসনকে জানানো হয়।

মাদরাসা কর্তৃপক্ষ জানায়, শিক্ষার্থীরা ধারণা করেছিল সানিম বেঁচে আছে, তাই তাকে উদ্ধার করে মেহমানখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পুলিশ ও নিহতের পরিবারকে অবহিত করা হয়। পুলিশ এসে মরদেহ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে এবং শিক্ষক হাফেজ মাহমুদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

এ ঘটনার পর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত শুরু করেছে এবং প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ আত্মহত্যা বলেই ধারণা করা হচ্ছে। তবে, মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করেছেন, পিবিআই’র প্রাথমিক রিপোর্ট ও সহপাঠীদের সাক্ষ্য উপেক্ষা করে কিছু সংবাদমাধ্যম ও মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে।

মাদরাসার পক্ষ থেকে বলা হয়, “এটি নিছকই একটি মর্মান্তিক ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। বিষয়টিকে ঘিরে যারা মিথ্যাচার ও অপপ্রচার চালাচ্ছেন, তারা একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় শিক্ষা ব্যবস্থাকে কলঙ্কিত করতে চাইছেন।”

মাদরাসার পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, এ ঘটনার পরও কিছু স্থানীয় সংবাদমাধ্যম, পিবিআই’র তদন্ত ও প্রাথমিক রিপোর্টের সত্যতা থাকা সত্ত্বেও বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত খবর প্রচার করে যাচ্ছে। এতে সংশ্লিষ্ট মহল অভিযোগ তুলছে, একটি কুচক্রী মহল দীর্ঘদিন ধরে মাদরাসা শিক্ষা ও প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে সক্রিয় রয়েছে। এই ধরনের মিথ্যাচার এবং ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচারকে তারা নিন্দা ও ঘৃণার চোখে দেখছে।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

কওমি মাদ্রাসাসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি

আনসারুল হক

জেলা পর্যায়ে ২৫ শতাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেয়ার প্রস্তাব

আনসারুল হক

আল্লামা সাজিদুর রহমান বেফাকের সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত

আনসারুল হক