শয়তান যেখানে ‘তৃতীয় ব্যক্তি’ হিসেবে উপস্থিত হয়

শালীনতা বজায় রাখতে গাইরে মাহরাম নারী-পুরুষের একা একসঙ্গে বসবাস বা অবস্থানে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে ইসলামে। হাদিসের একাধিক জায়গায় আল্লাহর রাসূলের নির্দেশনা রয়েছে এ বিষয়ে। হাদিসের আলোকে নারী-পুরুষের কোন নির্জন স্থানে একাকী বাস, কিছুক্ষণের জন্যও লোক-চক্ষুর অন্তরালে, ঘরের ভিতরে, পর্দার আড়ালে একান্তে অবস্থান শরীয়তে হারাম।

কারণ, তা ব্যভিচার না হলেও ব্যভিচারের নিকটবর্তী করে, ব্যভিচারের ভূমিকা অবতারণায় সহায়িকা হয়। আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘কোনো পুরুষ যেন কোন নারীর সাথে একান্তে গোপনে অবস্থান না করে। কারণ, শয়তান তাদের কুটনী হয়। (তিরমিজি, মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস, ৩১১৮)

শয়তান মানুষের শিরা-উপশিরায় চলাচল করে। কোনো গায়ের মাহরাম মহিলার সাথে একাকী অবস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে অশ্লীল কাজে লিপ্ত করা শয়তানেরই একটি চক্রান্ত। এজন্যই শরীয়ত এই পথ বন্ধ করে দিয়েছে। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«لَا يَخْلُوَنَّ رَجُلٌ بِامْرَأَةٍ إِلَّا كَانَ ثَالِثَهُمَا الشَّيْطَانُ

কোনো পুরুষ একজন মহিলার সাথে নির্জনের মিলিত হলে তাদের তৃতীয় সঙ্গী হয় শয়তান। (তিরমিজি)

আর শয়তান মানুষের মধ্যে ফিতনা ও অশান্তি সৃষ্টি করতে সব সময় তৎপর। কীভাবে মানুষকে হারাম কাজ করানো যায় এ চিন্তা তার অহর্নিশ। তাই আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সতর্ক করতে গিয়ে বলেন,

﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لَا تَتَّبِعُواْ خُطُوَٰتِ ٱلشَّيۡطَٰنِۚ وَمَن يَتَّبِعۡ خُطُوَٰتِ ٱلشَّيۡطَٰنِ فَإِنَّهُۥ يَأۡمُرُ بِٱلۡفَحۡشَآءِ وَٱلۡمُنكَرِۚ ﴾ [النور: ٢١]

হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ কর না। যে শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে তাকে তো সে অশ্লীল ও অন্যায় কাজেরই হুকুম দেয়। (সূরা আন-নূর, (২৪), আয়াত,২১)

একজন মুসলিম নারী পুরুষের জন্য আল্লাহ তায়ালার আদেশ পালন করার অর্থ আল্লাহ ও তার রাসূলের আদেশ পালন করা অপরিহার্য। আল্লাহ তায়ালার ইরশাদ করেছেন,

وَ مَا كَانَ لِمُؤْمِنٍ وَّ لَا مُؤْمِنَةٍ اِذَا قَضَی اللّٰهُ وَ رَسُوْلُهٗۤ اَمْرًا اَنْ یَّكُوْنَ لَهُمُ الْخِیَرَةُ مِنْ اَمْرِهِمْ ؕ وَ مَنْ یَّعْصِ اللّٰهَ وَ رَسُوْلَهٗ فَقَدْ ضَلَّ ضَلٰلًا مُّبِیْنًا

(তরজমা) আল্লাহ ও তার রাসূল কোনো বিষয়ে নির্দেশ দিলে কোনো মুমিন পুরুষ কিংবা মুমিন নারীর সে বিষয়ে ভিন্ন সিদ্ধান্তের অবকাশ থাকবে না। কেউ আল্লাহ ও তার রাসূলকে অমান্য করলে সে স্পষ্টতই পথভ্রষ্ট হবে। (সূরা আহযাব (৩৩), আয়াত, ৩৬)

এ জাতীয় আরো সংবাদ

সালাম দেওয়া উচিত নয় যেসব অবস্থায়

নূর নিউজ

কথা ও কাজের মাধ্যমে শিরক হয় যেভাবে

নূর নিউজ

বিশেষ সংবর্ধনা পেলেন দুই শতাধিক কোরআনের হাফেজ

নূর নিউজ