হজ্ব বিশ্বের মুসলমানদের ঐক্যের প্রতীক

ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হজ্ব। যেসকল প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিম নর নারী হজ্বে যাওয়ার মতো আর্থিক ও শারীরিক সামর্থ্য রয়েছে জীবনে কেবলমাত্র একবার হজ্ব করা তাদের উপর ফরজ। কারণ হজ্ব ইসলামের অন্যতম ফরজ বিধান ও এবাদত।

★ হজ্বের পরিচয়ঃ
হজ্ব আরবি শব্দ,যার আভিধানিক অর্থ ইচ্ছা করা বা সংকল্প করা। ইসলামী শরিয়তের পরিভাষায় আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির লক্ষ্যে নির্দিষ্ট মাসের নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে বায়তুল্লাহসহ সংশ্লিষ্ট স্থানসমুহে ইসলাম নির্ধারিত কাজসমূহ সম্পাদন করাকে হজ্ব বলা হয়।
হজ্ব বিশ্বের সকল মুসলমানদের ঐক্যের প্রতীক । মহান আল্লাহ তায়ালার প্রেমে পাগলপারা হয়ে তার ঘর তথা কাবা শরিফ জিয়ারতের বাসনায় মুসলমানরা ছুটে যায় পবিত্র নগরী মক্কা মুয়াজ্জমায়।

★ হজ্বের ফযিলত অগণিত ও অপরিসীমঃ
হজরত আবু হুরায়রা ( রা:) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে আল্লাহর রাসুল মোহাম্মদ ( সা:) বলেছেন, যে ব্যক্তি শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে হজ্ব করল এবং হজ্ব পালনকালে কোন ধরনের অশালীন কথা ও কাজে কিংবা কোন গুনাহের কাজে লিপ্ত হলো না, সে যেন নবজাত শিশুর ন্যায় নিষ্পাপ অবস্থায়হজ্ব থেকে প্রত্যাবর্তন করল। ( বুখারী ও মুসলিম শরিফ)

★ যাদের উপর হজ্ব ফরজ:
* মুসলমান হলে * আর্থিক সামর্থ্য থাকলে * শারীরিক ভাবে সুস্থ ও সক্ষম হলে * শরিয়তের আলোকে প্রাপ্তবয়স্ক ও সুস্থ মস্তিষ্ক হলে * যাতায়াতের রাস্তা নিরাপদ হলে * মহিলাদের সাথে মাহরাম থাকলে তাদের উপর হজ্ব ফরজ।

★ হজ্বের ফরজ ৩ টি:
(১) মনে মনে হজ্বের নিয়ত করে ইহরাম বেধে তালবিয়া পাঠ করা।
(২) ওকুফে আরাফাহ। ৯ ই জিলহজ্ব দ্বিপ্রহর হতে ১০ জিলহজ্ব সুবহে সাদিকের পূর্ব পর্যন্ত যেকোনো সময়ে একমুহুর্তের জন্য হলে ও আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা।
(৩) তাওয়াফে যিয়ারত। ১০ জিলহজ্বের ভোর হতে ১২ জিলহজ্ব সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত বায়তুল্লাহ শরিফ যিয়ারত করা।

★ হজ্ব তিন প্রকার: 
(১) হজ্বে ইফরাদঃ মীকাত থেকে কেবলমাত্র হজ্বের ইহরাম বেধে হজ্ব করাকে ইফরাদ হজ্ব বলা হয়।
(২) হজ্বে কিরানঃ বলা হয়- মীকাত থেকে ইহরাম বেধে উমরাহ ও হজ্ব করাকে হজ্বে কিরান বলা হয়।
(৩)হজ্বে তামাত্তুঃ বলা হয় মীকাত থেকে উমরার নিয়তে ইহরাম বেধে উমরার কাজ সমাপ্ত করার পর সেই সফরে ই পুনরায় হজ্বের নিয়তে ইহরাম বেধে হজ্বের কাজ সম্পন্ন করা কে হজ্বে তামাত্তু বলা হয়।
আল্লাহ তায়াল বিশ্বের সকল মুসলিম নর-নারীকে হজ্বে মাবরুর নসীব করুন। আমীন।

মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান
-উস্তাদ, জামিয়া কোরআনিয়া সৈয়দা সৈয়দুন্নেছা ও কারিগরি শিক্ষালয় কাজীপাড়া ব্রাক্ষণবাড়ীয়া।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

কিয়ামতের দিন অবিশ্বাসীরা যে আফসোস করবে

নূর নিউজ

তাকরিমকে অভিনন্দন জানিয়েছে ইসলামী ফাউন্ডেশন

নূর নিউজ

নবীজির দোয়ার পর যেভাবে মুষলধারে বৃষ্টি ঝরেছিল মদিনায়

নূর নিউজ