৮ মাসেই বুখারী শরীফ মুখস্থ: দুই তরুণের অনন্য সাফল্য

মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হাদীস মুখস্তের বিরল কীর্তি গড়েছেন দুই মাদরাসাছাত্র। ইসলামের প্রাথমিক যুগে সাহাবা, তাবেঈন ও তাবে তাবেঈনরা হাফেজে হাদীস ছিলেন, কিন্তু বর্তমান যুগে এই সংখ্যা খুবই নগণ্য। এমন সময়ে বুখারী শরীফ মুখস্ত করেছেন ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার তাজুল ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ মাসউদুর রহমান এবং কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জের আব্দুল করিমের ছেলে হাসনাইন সারওয়ার।

দুইজনই নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের বাগমুছা এলাকার আল মারকাজুল ইসলামী মাদরাসায় পড়াশোনা করছেন। মাসউদুর রহমান ‘হিফজুল হাদীস’ বিভাগে, আর হাসনাইন ‘উলুমুল হাদীস’ বিভাগে অধ্যয়নরত। মাসউদুর রহমান মাত্র ৮ মাস ৯ দিনে এবং হাসনাইন ৮ মাস ৭ দিনে বুখারী শরীফ হিফজ সম্পন্ন করেছেন।

মোহাম্মদ মাসউদুর রহমান জানিয়েছেন, “শৈশবে নুরানীতে পড়ার সময় ৪০টি হাদীস মুখস্থ করি। তখন থেকেই হাদীসের প্রতি আগ্রহ জন্মে। উস্তাদদের উৎসাহে বুখারী শরীফ হিফজের সংকল্প করি এবং আলহামদুলিল্লাহ সফল হই।” তিনি আরও বলেন, এটি তার কাছে সহজ মনে হয়েছে এবং মাদরাসায় বিশেষ পরিবেশের কারণে মুখস্ত করা সম্ভব হয়েছে।

অন্যদিকে হাসনাইন সারওয়ার বলেছেন, “প্রাথমিক ক্লাস থেকেই হাদীস মুখস্ত শুরু করি। বড় ভাই মুফতি শফিউল্লাহ আমাকে অনুপ্রাণিত করেছেন। মুহাদ্দিসদের জীবনী পড়তে পড়তে বুখারী শরীফ মুখস্তের ইচ্ছা জন্মে এবং আল্লাহর তাওফিক পেয়েছি।” তিনি উল্লেখ করেন, পূর্ববর্তী আলেমরা লক্ষ লক্ষ হাদীস মুখস্ত করতেন, কিন্তু বর্তমানে এটি উপেক্ষিত।

দুই ছাত্রই হাদীসের খেদমতে জীবন উৎসর্গ করার তাগাদা রাখেন। তারা বলেন, “আমরা মানুষের হেদায়েতের জন্য কাজ করতে চাই এবং আল্লাহ যেন আমাদের প্রতি সন্তুষ্ট থাকেন। আমাদের প্রার্থনা শুধু এটুকুই।”

এ জাতীয় আরো সংবাদ

কোরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য নির্ধারণের দাবি

আনসারুল হক

স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন আবরার ফাহাদসহ ৯ বিশিষ্ট ব্যক্তি

আনসারুল হক

জিয়াফত: সামাজিক ভোজ থেকে রাজনীতির নতুন ভাষা

আনসারুল হক