ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও চরমোনাই পীর আলহাজ্ব মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, “দেশে একটি দল কেবলই নির্বাচনের দাবিতে অনবরত চাপ সৃষ্টি করছে। অথচ জাতি এই চাপ প্রয়োগকে ইতিবাচকভাবে দেখছে না। জনগণ আর রাজনৈতিক অসহিষ্ণুতা, হানাহানি ও ষড়যন্ত্র দেখতে চায় না।”
তিনি আজ ঠাকুরগাঁওয়ের এক বিশাল গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
চরমোনাই পীর বলেন, “লাখো শহীদের আত্মত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার ৫৪ বছর পার হলেও আমরা এখনো সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত। বিগত সরকারগুলো দেশকে দুর্নীতির চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গেছে। রাজনীতির নামে সহিংসতায় লাখো মায়ের বুক খালি হয়েছে, হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। এরপরে ঘটে গেল ভয়াবহ জুলাই অভ্যুত্থান, যাতে হাজারো মানুষ প্রাণ হারাল, অনেকে আজও আহত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।”
তিনি দুঃখ করে বলেন, “এই ভয়াবহ ঘটনার পরেও রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্বহীন আচরণ মানুষকে হতাশ করছে। মানুষ আর আশাহত হতে চায় না, বর্তমান পরিস্থিতি আর সহ্য করার মতো নয়।”
চরমোনাই পীর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয় উল্লেখ করে বলেন, “বর্তমান প্রশাসনিক গঠন ও রাজনৈতিক দলগুলোর স্বার্থান্বেষী আচরণ অন্তর্বর্তী সরকারের সঠিকভাবে কাজ করার পরিবেশ নষ্ট করেছে। আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে স্পষ্টভাবে জানিয়েছি—জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার ও রাষ্ট্রীয় সংস্কার চাই।”
তিনি আরও বলেন, “প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময়সীমা আর বিএনপির দাবিকৃত সময়সীমার মধ্যে পার্থক্য মাত্র ছয় মাস। এই ছয় মাসের জন্য চাপ সৃষ্টি করে জাতিকে অস্থির করার কোনও যৌক্তিকতা নেই।”
শেষে তিনি বলেন, “দেশ, জাতি ও মানবতার পক্ষে সম্মিলিতভাবে লড়াই করতে হবে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ১৯৮৭ সাল থেকে প্রলোভনের রাজনীতি থেকে দূরে থেকে কাজ করে যাচ্ছে। জুলাই অভ্যুত্থান থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলন—সব জায়গায় আমরা রাজপথে ছিলাম। আগামী নির্বাচনে আমাদের দলকে বিজয়ী করতে হবে—এটাই সময়ের দাবি।”