আকাশযুদ্ধে ধরাশায়ী রাফাল, আর্থিক ক্ষতির মুখে ফ্রান্স!

কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর ক্রমবর্ধমান সামরিক উত্তেজনার মধ্যে বুধবার আকাশযুদ্ধে বড়সড় ধাক্কা খেল ভারত। পাকিস্তানের বিমান বাহিনী (পিএএফ) এদিন ছয়টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে। যার মধ্যে তিনটি অত্যাধুনিক রাফাল জেটও রয়েছে। এই ঘটনার জের ধরে রাফাল প্রস্তুতকারক ফরাসি সংস্থা দাসো অ্যাভিয়েশনের শেয়ারে বুধবারই ৬ শতাংশের বড় পতন ঘটেছে।

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা ও উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে জানা গেছে, এদিন মোট ছয়টি ভারতীয় বিমান ধ্বংস করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে তিনটি রাফাল, একটি মিগ-২৯, একটি এসইউ-৩০ এবং একটি হেরন নজরদারি ড্রোন। পাকিস্তানের দাবি, বিমানগুলো ভারতীয় আকাশসীমার মধ্যে থাকলেও স্ট্যান্ড-অফ মিউনিশন ব্যবহার করে পাকিস্তানি ভূখণ্ডে হামলার চেষ্টা করছিল।

একাধিক যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার খবরে তাৎক্ষণিক বাজারে প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।

সামরিক প্রযুক্তি নির্ভর দাসো এভিয়েশনের শেয়ার, যা সাধারণত এই খাতের আত্মবিশ্বাসের ব্যারোমিটার হিসেবে বিবেচিত হয়। রাফাল জেটের কার্যকারিতা এবং ভারতের কৌশলগত অবস্থানের উদ্বেগ সৃষ্টি হওয়ায় সরাসরি ক্ষতির শিকার হয়েছে।
দাসো-এর স্টক ২০২৫ সালের শুরুতে ৫২ সপ্তাহের সর্বোচ্চ ৩৩২.২০ ইউরোতে পৌঁছেছিল বলে প্রতিষ্ঠানের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এই সময়ের মধ্যে ৫৯.৪৩% বৃদ্ধি পেয়েছিল প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার।

যা শক্তিশালী প্রতিরক্ষা চাহিদার কারণে হয়েছে বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়। হঠাৎ ৬% কমে যাওয়ার জন্য কোনো উল্লেখযোগ্য তথ্য আর্থিক সংবাদদাতা এজেন্সিগুলো দেয়নি। তবে নেতিবাচক খবরের জন্য হয়তো দিনের কার্যদিবস শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।
পাকিস্তানের সামরিক মুখপাত্র স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, আমাদের কোনো বিমানেরই কোনো ক্ষতি হয়নি। সমস্ত ইউনিট নিরাপদে ঘাঁটিতে ফিরে এসেছে।

তিনি পিএএফের অভিযান প্রস্তুতি এবং পাকিস্তানের আকাশসীমা রক্ষায় তাদের দৃঢ় প্রতিজ্ঞার উপর জোর দেন।

পাকিস্তানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভূপাতিত হওয়া একটি রাফাল এবং একটি এসইউ-৩০ বিমান বাহাওয়ালপুরের পূর্বে আহমেদপুর এবং আরেকটি রাফাল এলওসি থেকে প্রায় ১৭ নটিক্যাল মাইল দূরে পুলওয়ামা জেলার দক্ষিণ-পশ্চিমে বিধ্বস্ত হয়েছে। সূত্র আরও জানায়, হেরন ড্রোনটিকে একটি পৃথক অভিযানে ভূপাতিত করা হয়েছে।

এদিকে, ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো সূত্রের উল্লেখ না করে দাবি করেছে যে পাল্টা আক্রমণে পাকিস্তানের যুদ্ধবিমানও ভূপাতিত হয়েছে। তবে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা এই প্রতিবেদনগুলিকে কঠোরভাবে অস্বীকার করে একে ভিত্তিহীন, বানোয়াট এবং ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা বলে অভিহিত করেছেন।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

সংলাপে নিজে উপস্থিত হয়ে যুদ্ধবিরতির ওপর জোর এরদোয়ানের

নূর নিউজ

বিশ্বে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির প্রধান উৎস আমেরিকা: চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নূর নিউজ

তালেবান নেতৃত্বের সাথে বিশ্বের যুক্ত হওয়া জরুরি

নূর নিউজ