আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) ইসরাইলকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছে— এখন ইসরাইলিদের সামনে দু’টি পথ খোলা রয়েছে: “মরো অথবা পালাও।” ইরান দাবি করছে, তাদের নতুন প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ইসরাইলের বহু স্তরবিশিষ্ট আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কার্যত ব্যর্থ হয়ে পড়েছে।
গতকাল ১৯ জুন সকালেই ইরানি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী একযোগে ইসরাইলের প্রাণকেন্দ্রের চারটি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এতে অন্তত ৩ জন নিহত ও ৫০ জনের মতো আহত হয়। ইসরাইলের দাবি অনুযায়ী, চলমান যুদ্ধের মধ্যে এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা।
আইআরজিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এদিনের হামলার মূল লক্ষ্য ছিল ইসরাইলি সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার বিভিন্ন কমান্ড সেন্টার এবং কার্যালয়। তবে এর পাশাপাশি দক্ষিণ ইসরাইলের বেয়ার শেভা অঞ্চলে অবস্থিত ‘সোরোকা’ হাসপাতাল কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যদিও ইসরাইলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে— হাসপাতালটি ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছে, এমনকি ছাদ পর্যন্ত ধসে পড়েছে।
ইসরাইল এই হামলাকে মানবাধিকারের লঙ্ঘন এবং যুদ্ধাপরাধ বলে প্রচার করছে। অন্যদিকে বিশ্লেষকরা বলছেন, যে অভিযোগ আজ ইসরাইল করছে, গাজায় তারাই দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতাল, স্কুল ও নাগরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে আসছে।
এদিকে আইআরজিসির পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, ইসরাইলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি অকার্যকর হয়ে পড়েছে। ইরান এখন আকাশপথে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। তারা বলছে, “ইসরাইলের আকাশ এখন ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য উন্মুক্ত। দখলদারদের সামনে এখন কেবল দুটি পথ— আশ্রয়কেন্দ্রে বসে ধীরে ধীরে মরতে থাকা অথবা দখল করা ভূমি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া।”
আইআরজিসি আরও জানায়, দখলদারদের বিরুদ্ধে হামলা অব্যাহত থাকবে এবং প্রতিশোধের আগুন এখনো শেষ হয়নি। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, এই প্রতিশোধ এক সময় শহীদ আইআরজিসি প্রধান হোসেইন সালামির ঘোষিত ‘জায়নবাদীদের জন্য জাহান্নামের দরজা খুলে দেওয়া’র বাস্তব রূপ।
সর্বশেষ বিবৃতিতে ইরানের গার্ড বাহিনী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, “এক মুহূর্তের জন্যও ইসরাইলে সাইরেনের শব্দ থামবে না। দখলদারদের কোনোভাবেই রেহাই দেওয়া হবে না। যত দ্রুত সম্ভব ফিলিস্তিনের দখলকৃত অঞ্চল ছেড়ে পালাতে হবে।”