রাজধানীর তুরাগে অবস্থিত একটি ভুয়া হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে উমরাহ হজ করানোর কথা বলে তিনজন ভুক্তভোগীর নিকট থেকে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। প্রতারিত ব্যক্তিরা র্যাব-১ এর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ চেয়েছেন।
ভুক্তভোগী জুনাইদ ইসলাম, সোহেল মাহমুদ এবং নাসির উদ্দিন জানান, তারা গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে উত্তরা পশ্চিম থানাধীন বিএনএস সেন্টার, সেক্টর-৭-এ অবস্থিত “ইসলামিয়া সচ্ছ গ্রুপ বাংলাদেশ” নামের একটি অফিসে যোগাযোগ করেন। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মো. জামিল আহমেদ তাদেরকে জানায়, ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকায় তিনি উমরাহ হজের সম্পূর্ণ ব্যবস্থা করে দেবেন।
বিশ্বাস স্থাপন করিয়ে প্রথমে ১ লাখ টাকা এবং পরে ৪ লাখ টাকা, মোট ৫ লাখ টাকা তারা জামিল আহমেদের হাতে মানি রিসিটের মাধ্যমে প্রদান করেন। জামিল তাদের ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের টিকিট পাঠালেও বারবার ভিসার কপি চাওয়া সত্ত্বেও তা দিতে পারেননি। পরবর্তীতে জানা যায়, কোনো ভিসাই ইস্যু হয়নি।
জামিল আহমেদের অফিসের ম্যানেজার ইমরান হোসেন এবং একই তলায় অবস্থিত “হক ট্যুরস ট্রাভেলস”-এর মালিক মো. ফারুক হোসেন প্রতিশ্রুতি দেন যে ভিসা খুব দ্রুত চলে আসবে। কিন্তু ভিসা না পাওয়ায় নির্ধারিত তারিখে (৯ মার্চ ২০২৫) ভুক্তভোগীরা সৌদি আরব যেতে পারেননি।
১৩ এপ্রিল ২০২৫ সকাল ১০টায় তিন ভুক্তভোগী জামিল আহমেদের অফিসে গিয়ে টাকা ফেরতের দাবি জানালে তিনি দুর্ব্যবহার শুরু করেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন। পরে তারা উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন (জিডি নম্বর: ১১৭৩, তারিখ: ১৪/০৪/২০২৫)।
ভুক্তভোগীরা বলেন, “আমরা গরীব মানুষ, হজ করার স্বপ্নে প্রতারকের হাতে লাখ লাখ টাকা তুলে দিয়েছিলাম। এখন বুঝতে পারছি, আমাদের মত আরও অনেকে এই চক্রের শিকার হয়েছেন। আমরা র্যাব ও প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি, যেন দ্রুত এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং আমাদের কষ্টের টাকা ফেরত পাই।”
প্রতারণার এমন ভয়াবহ চিত্র দেখে স্থানীয়দের মধ্যেও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসী মনে করছেন, ভুয়া হজ ও ট্রাভেলস প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর নজরদারি প্রয়োজন।