কাদিয়ানীদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে: উলামা সম্মেলনে পীর সাহেব মধুপুর

বাংলাদেশ একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র। তাই কুফরী আকিদা পোষনকারী কাদিয়ানিদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করা সময়ের দাবি। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আগামী ১৫ নভেম্বর আন্তর্জাতিক মহাসম্মেলন সফল করতে সরকার, প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের সহানুভূতিশীল অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশ।

আজ শনিবার (২৩ আগস্ট) রাজধানীর ফরিদাবাদ মাদরাসা মিলনায়তনে খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশের উলামা সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটির আমীর পীরে কামেল মাওলানা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর এই আহ্বান জানান।

ফরিদাবাদ মাদরাসার মুহতামিম ও শায়খুল হাদীস আল্লামা আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে উলামা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

বক্তব্য রাখেন,মুফতি জসিম উদ্দিন হাটহাজারী, মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী, মুফতি আব্দুল আউয়াল ডিআইটি, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব, শায়খুল হাদীস মাওলানা হেলাল উদ্দিন, মুফতি জাফর আহমাদ ঢালকানগর, মাওলানা আবু তাহের জিহাদী, মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, মুফতি নূর হোসাইন নূরানী, মাওলানা আবদুল্লাহ মোহাম্মদ হাসান (পীর সাহেব বাহাদুরপুর), মাওলানা আব্দুল বাসেত খান, মাওলানা নেয়ামত উল্লাহ ফরিদী, মাওলানী আলী আহমদ চৌধুরী (পীর সাহেব চণ্ডিবর্দী), মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ রামপুরা, মুফতি সালাহ উদ্দীন দিলু রোড,হাফেজ মাওলানা হাসান জামীল, মুফতি মাসউদুল করীম, মুফতি মোহাম্মাদ আলী আফতাবনগর, মাওলানা রশিদ আহমদ মেরাজনগর, মুফতি খোরশেদ আলম কাসেমী, মুফতি আব্দুর রাজ্জাক কাসেমী, মাওলানা ফজলুর রহমান গাজীপুর, মাওলানা আব্দুল কাইউম সুবহানী, মাওলানা আব্দুল লতিফ ফারুকী, মাওলানা লেহাজ উদ্দিন গাজীপুর, মুফতি ফয়জুল্লাহ আশরাফী, মুফতি মুজিবুর রহমান হামেদী, মুফতি সাঈদ নূর, মুফতি আব্দুল বারী, মুফতি আবুল কাশেম আশরাফী, মুফতি মাহবুবুর রহমান নবাবগঞ্জী, মুফতি আমিনুল ইসলাম কাসেমী, মুফতি নাজমুল হাসান বিন নূরী, মুফতি খালিদ সাইফুল্লাহ নোমানী, মুফতি বিন ইয়ামিন সাদী প্রমুখ।

বক্তারা বলেন,১৯৭৪ সালে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ কাদিয়ানিদেরকে আইনগতভাবে অমুসলিম ঘোষণা করে।বাংলাদেশে ১৯৮৫ সালের ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত’ সংক্রান্ত আইনে বিভ্রান্তিমূলক প্রচার নিষিদ্ধ করেছে।কাদিয়ানিরা নিজেদের মুসলমান দাবি করে মুসলিম সমাজকে বিভ্রান্ত করছে, যা দণ্ডবিধি ২৯৫ ধারার পরিপন্থী।

মহা সমাবেশ বাস্তবায়নেরর জন্য নিম্নোক্ত কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

১. অল্প সময়ের মধ্যে প্রত্যেক জেলা কমিটির অধীনে থাকা থানা/উপজেলা ও ইউনিয়ন কমিটি গঠন সম্পন্ন করা।
২. সারা দেশে একযোগে ঈমান বাঁচাও লিফলেট বিতরণ করা।
৩. খতীব সাহেবান জুম্মার আলোচনায় সাধারণ মুসলমানদের দায়িত্ব প্রদান করা।
৪. প্রত্যেকে নিজ নিজ জায়গা থেকে অনলাইন প্রচারে অংশ গ্রহণ করা।
৫. কেন্দ্র কর্তৃক সরবরাহকৃত পোস্টার, হ্যান্ডবিল, দাওয়াত কার্ডসহ যে কোন নির্দেশনা স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালন করা।
৬. ইউনিয়ন, থানা ও জেলা পর্যায়ে জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে নিয়মিত দাওয়াতি কার্যক্রম ও ঝটিকা সফর পরিচালনা করা।
৭. মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে জেলা/উপজেলা ও ইউনিয়ন থেকে সর্বাধিক লোক জমায়েতের চেষ্টা করা।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

কুরআনের আয়াত পরিবর্তন চাওয়া সেই রিজভীর শিরশ্ছেদে ২০ হাজার রুপি ঘোষণা

আলাউদ্দিন

পিআর নিয়ে গণমানুষের মধ্যে সাধারণ ঐক্য তৈরি হয়েছে

আনসারুল হক

প্রতিটি কোভিড আইসিইউ রোগীর জন্য সরকারের ব্যয় ৪ লাখ টাকা : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

আনসারুল হক