পবিত্র হজ করতে সৌদি আরবের মক্কায় সমবেত হয়েছেন বিশ্বের লাখ লাখ মুসলিম। তারা আগামীকাল (৪ জুন) ইহরাম বেঁধে সারাদিন মিনায় অবস্থান করবেন। আজ থেকেই অনেকে মিনায় যাওয়া শুরু করেছেন। এর মধ্য দিয়ে শুরু হবে ১৪৪৬ হিজরির হজের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম।
পরদিন বৃহস্পতিবার হজের মূল কার্যক্রম হিসেবে হাজিরা আরাফায় অবস্থান করবেন।
হজের অংশ হিসেবে হাজিরা ৮ থেকে ১২ জিলহজ মিনা, আরাফাত, মুজদালিফা ও মক্কায় অবস্থান করবেন। এরপর সাঈ, তাওয়াফ ও দমে শোকর আদায়ের মাধ্যমে পাঁচ দিনব্যাপী হজের কার্যক্রম শেষ হবে।
নিয়ম অনুযায়ী, আজ মঙ্গলবার (৭ জিলহজ) সন্ধ্যার পর মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারাম বা নিজ আবাসন থেকে হজের নিয়ত করে প্রায় ৯ কিলোমিটার দূরে মিনার উদ্দেশে রওনা হবেন হজযাত্রীরা।
তাদের পরনে সেলাইবিহীন দুই টুকরা সাদা কাপড়। ৮ জিলহজ জোহরের নামাজের আগে মিনায় পৌঁছা সুন্নত। সেখান পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় ও রাতযাপন করাও সুন্নত। তাই হাজিদের সবার জন্য আলাদা আলাদা তাবু স্থাপন করা হয়েছে।
সেখানে তারা তালবিয়া, জিকির, তিলাওয়াত ও দোয়ায় মগ্ন থেকে সারাদিন অবস্থান করবেন।
এরপর বৃহস্পতিবার (৯ জিলহজ) ফজরের নামাজ পড়ে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে আরাফাতের ময়দানে যাবেন হাজিরা। সেখানে সূর্যাস্ত পর্যন্ত হাজিদের ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখর হবে পুরো ময়দান। এখানে অবস্থান করে তিলাওয়াত, জিকির, নামাজ, খুতবা শোনাসহ ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে হজের মূল কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা হজের আবশ্যিক বিধান।
তাই বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হজযাত্রীদের কিছু সময়ের জন্য হলেও আরাফাতের ময়দানে নেওয়া হয়।