কুরবানির পশু কেনার পর শরিক বাড়ানো যাবে কি?

  • হাসান আল মাহমুদ

পবিত্র ঈদুল আজহা এখন দোরগোড়ায়। ঘরে ঘরে চলছে প্রস্তুতি, অনেকেই ইতোমধ্যে কুরবানির পশু কিনে ফেলেছেন, কেউবা এখনো খুঁজছেন পছন্দের গরু বা মহিষ। অংশীদারি কুরবানি আমাদের সমাজে প্রচলিত। তবে পশু কেনার পর শরিকের সংখ্যা বাড়ানো বা কমানো যাবে কি না, তা নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন দেখা দেয়। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি কী—জেনে নেওয়া যাক:

শরিক বাড়ানো যাবে কোন ক্ষেত্রে?
যদি কোনো ধনী ব্যক্তি একা কুরবানি করার নিয়তে গরু, মহিষ বা উট ক্রয় করেন, তাহলে পরে সে চাইলে অন্য কাউকে শরিক করতে পারেন। শরিক না করে একাই কুরবানি করা উত্তম হলেও শরিক করলে তাঁর অংশ সদকা করে দেওয়া আরও ফজিলতের কাজ।

তবে কোনো গরিব ব্যক্তি, যার ওপর কুরবানি করা ওয়াজিব নয়, সে যদি একা কুরবানির নিয়তে পশু কিনে ফেলে, তাহলে পরে কাউকে শরিক করা শরিয়তসম্মত নয়। এমনটি হলে তাঁর শরিকের অংশ সদকা করে দিতে হবে। মূলত শরিক করার ইচ্ছা থাকলে, পশু কেনার সময়ই তা নির্দিষ্ট করে নেওয়াই উত্তম ও সঠিক পদ্ধতি।
(সূত্র: ফতোয়ায়ে কাজিখান ৩/৩৫০–৩৫১; বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১০)

➤ শরিকের মৃত্যু হলে করণীয়:
জবাইয়ের আগেই যদি কোনো শরিক মারা যান, তাহলে তাঁর ওয়ারিশরা কুরবানির অনুমতি দিলে কুরবানি বৈধ হবে। তবে অনুমতি না পেলে ওই অংশের টাকা ফেরত দিয়ে তার পরিবর্তে নতুন শরিক নেওয়া যাবে।
(সূত্র: আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩২৬; ফতোয়ায়ে কাজিখান ৩/৩৫১)

কুরবানির পশুতে অন্য নিয়ত:
একই পশুতে কেউ আকিকা, কেউ হজের কুরবানি এবং কেউ ঈদের কুরবানি দিতে চাইলে তা জায়েজ। তবে হজের কুরবানি হেরেম এলাকায় জবাই করতে হবে, অন্যথায় তা সহিহ হবে না।
(সূত্র: বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৯; আল-ইনায়া ৮/৪৩৫–৪৩৬)

অতএব, শরিক বাড়ানো বা কমানোর ক্ষেত্রে নিয়ত ও ক্রয়পর্বের সময় গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। কুরবানি শুধু একটি পশু জবাই নয়, বরং তা নিয়ত, ইখলাস ও শরিয়তের নির্দেশ মেনে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যম।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

পবিত্র রমজানের পয়গাম

আনসারুল হক

আওয়াল ওয়াক্তে নামাজ আদায়ের সওয়াব

নূর নিউজ

মাত্র ৬ মাসে পুরো কোরআন হাতে লিখলেন কাশ্মিরী তরুণ

নূর নিউজ