গজনী শহরের কৌশলগত ও সংস্কার পরিকল্পনা অনুমোদনের পর বাস্তবায়নের জন্য প্রাদেশিক পৌরসভায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এই পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে নগর উন্নয়ন ও আবাসন মন্ত্রণালয়।
কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, পরিকল্পনাটিতে গজনীর জন্য ২০ বছরের নগর উন্নয়ন কৌশল, শহরের অভ্যন্তরীণ সড়ক সম্প্রসারণ এবং বাণিজ্যিক, শিল্প, স্বাস্থ্য ও জনসেবা কার্যক্রমের জন্য অঞ্চল নির্ধারণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রথমবারের মতো বহু তলা আবাসিক ভবন নির্মাণের প্রস্তাবও এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
গজনীর মেয়র মোহাম্মদ নবি হামজা জানান, “মাস্টার প্ল্যান প্রস্তুতের পর বিস্তারিত ও পুনর্গঠন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সামগ্রিকভাবে এসপান্দা থেকে কোটলা এবং নওআবাদ থেকে কালা-এ-জোজ পর্যন্ত এলাকা মাস্টার প্ল্যানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, প্রয়োজনে পূর্ববর্তী সংস্করণে সংশোধন আনা হয়েছে।”
গজনী নগর উন্নয়ন ও আবাসন বিভাগের নগর বিষয়ক প্রধান রহমতুল্লাহ বাহের বলেন, “নতুন কৌশলগত পরিকল্পনায় বাণিজ্যিক অঞ্চল যোগ করা হয়েছে এবং কোল্ড স্টোরেজ সুবিধা ও জনসেবার জন্য এলাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সংস্কার ও সংশোধনী পরিকল্পনায় গজনী শহরের অভ্যন্তরীণ সড়ক ও বাণিজ্যিক এলাকা সম্প্রসারণ করা হয়েছে।”
প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, বর্তমান চাহিদা মাথায় রেখে এই পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে, যা নগর উন্নয়ন ও সুশৃঙ্খলতা নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করবে। প্রথমবারের মতো নির্দিষ্ট এলাকায় ৩ থেকে ১৫ তলা পর্যন্ত আবাসিক ভবন নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হবে।
গজনী নগর উন্নয়ন ও আবাসন বিভাগের প্রকৌশল প্রধান হামিদ-উর-রহমান শহীদখিল বলেন, “শহরের অনেক বাসিন্দা আবাসনের সংকটে আছেন, আর ফেরত আসা শরণার্থীরাও আশ্রয়হীন। এই বহু তলা ভবনগুলো সেই সমস্যার সমাধানে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।”
এদিকে গজনীর বাসিন্দারা পরিকল্পনাগুলোর বাস্তবায়নকে স্বাগত জানিয়ে দ্রুত কাজ শুরুর আহ্বান জানিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ আব্বাস বলেন, “গজনী শহরের মানুষ বর্তমানে যানজট ও বিশৃঙ্খলার মতো বড় সমস্যার মুখোমুখি। আমরা আশা করি, এই পরিকল্পনাগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন হবে।”
আরেক বাসিন্দা মোহাম্মদ নবি বলেন, “এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, শহর সুশৃঙ্খল হবে এবং মানুষের জীবনযাত্রা সহজ হবে। আমরা অনুরোধ করছি, যেন দ্রুত বাস্তব কাজ শুরু হয়।”
গজনীর মানুষের প্রধান সমস্যার মধ্যে রয়েছে মানসম্মত সড়কের অভাব, যানজট, নির্দিষ্ট বাণিজ্যিক ও শিল্প এলাকা এবং প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর অনুপস্থিতি, পাশাপাশি মানসম্মত পানি ও পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থার অভাব।