গোপনে দেশ ছাড়লেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ৯ মাস পর দেশ ছাড়লেন ওই সরকারের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। বুধবার দিবাগত রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তিনি দেশ ছাড়েন তিনি।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দায়িত্বশীল একটি সূত্র তার দেশ ছাড়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

সূত্রটি জানিয়েছে, রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের টিজি ৩৪০ নম্বর ফ্লাইটে ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন আবদুল হামিদ।

সূত্রটি জানিয়েছে, গত রাত ১১টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান আবদুল হামিদ। সেখানে যাওয়ার পর ইমিগ্রেশনে প্রয়োজনীয় যাচাইবাছাই শেষে দেশ ছাড়ার সবুজ সংকেত পান তিনি।

পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) ইমিগ্রেশন বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি আজ সকালে জানতে পেরেছি সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ দেশত্যাগ করেছেন।

তার নামে হত্যা মামলা ছিল। এটা এসবি জেনেও কি ক্লিয়ারেন্স দিয়েছে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি কোন হত্যা মামলার আসামি এটা আমরা জানি না। আর হত্যা মামলা থাকলেই যে তাকে ক্লিয়ারেন্স দেওয়া যাবে না বিষয়টি এরকম নয়। এটা আদালতের নির্দেশনা লাগবে। তাকে গ্রেপ্তারে বা দেশত্যাগে আদালতের নিষেধাজ্ঞা ছিল না।

তিনি আরও বলেন, সংবিধানের ৩৪ ও ১০২ ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশি কোনো নাগরিককে যাতায়াতে বাধা দেওয়া যাবে না। যদি আদালতের সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা না থাকে। তার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞার কোনো নির্দেশনা আমরা পাইনি। কোনো মামলায় তাকে আটক বা গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকেও কোনো আর্জি বা আবেদন ছিল না।

আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে অন্তত একটি হত্যা মামলা থাকার তথ্য রয়েছে। গত ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ সদর থানায় তার বিরুদ্ধে এই মামলাটি দায়ের হয়। মামলাটিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ওবায়দুল কাদেরের নামও রয়েছে।

১৪ জানুয়ারি আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার আগে কিশোরগঞ্জ জেলায় আওয়ামী লীগ নেতাদের আসামি করে প্রায় অর্ধশত মামলা হয়। তবে সেসব কোনো মামলাতেই আবদুল হামিদকে আসামি করা হয়নি।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাইতুল মোকাররমে পর্দা উঠলো ইসলামী বইমেলার

নূর নিউজ

আল্লামা শাহ আহমদ শফীর বর্ণাঢ্য জীবন

আনসারুল হক

বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

আনসারুল হক