চামড়া সংগ্রহ ও সংরক্ষণে মাদ্রাসা ছাত্রদের ভূমিকার প্রশংসা করে ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী বলেন, “চামড়া কালেকশন ছাড়াও মাদ্রাসাগুলো চলবে, ইনশাআল্লাহ! কিন্তু চামড়া শিল্প, দেশ ও অসহায় মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”
তিনি বলেন, ঈদের দিনে দেশের অন্তত ১০ হাজার মাদ্রাসার প্রায় ১০ লাখ ছাত্র ৮ থেকে ১০ ঘণ্টার মধ্যে কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করে তা লবণ দেওয়ার উপযুক্ত স্থানে পৌঁছে দেয়। যদি তারা এই স্বেচ্ছাশ্রম না দিত, তাহলে ৫০ শতাংশ চামড়া লবণ দেওয়ার আগেই নষ্ট হয়ে যেত। এতে গরীব মানুষ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতির শিকার হতো। অথচ অসৎ ব্যবসায়ীদের এতে তেমন ক্ষতি হতো না।
আজ রবিবার (৮ জুন) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে এসব বলেন তিনি।
মুফতি রাজী অভিযোগ করে বলেন, “সিন্ডিকেট করে চামড়ার দাম কমিয়ে ফেলায় গরিব মানুষ এখনো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। চামড়া নষ্ট হলেও ট্যানারিমালিকদের তেমন কিছু আসে যায় না। কারণ তারা কম দাম দিয়ে কম পরিমাণ চামড়া কিনেই লাভবান হয়।”
তিনি মনে করেন, চামড়ার কাজ বন্ধ নয়, বরং সিন্ডিকেট থেকে বাজারকে মুক্ত করা এখন সময়ের দাবি। এতে সাধারণ মানুষের উপকার হবে এবং চামড়া শিল্পও রক্ষা পাবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তাদের উদ্যোগ ছিল অসম্পূর্ণ। ফ্যাসিবাদের আমলে যারা সিন্ডিকেট করেছিল, তাদের কবল থেকে চামড়া বাজারকে মুক্ত করতে পারেনি সরকার।”
ফ্রি লবণের ব্যবস্থা থাকলেও মাদ্রাসাগুলো নিজের উদ্যোগে লবণ লাগাতে পারেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ হিম্মত করে লবণ লাগানোর উদ্যোগ নিলে চামড়া সংরক্ষণ আরও কার্যকর হতো।”
তিনি সবশেষে দেশের স্বার্থে সকলকে এক হয়ে চামড়া বাজারে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য রোধে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।