বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় চামড়া শিল্প আজ চরম অবহেলা ও সংকটের মুখে। সুপরিকল্পিত পদক্ষেপ না নিলে এই খাত পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও রাজধানীর জামিয়া হোসাইনিয়া ইসলামিয়া আরজাবাদ মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা বাহাউদ্দিন যাকারিয়া।
শনিবার (৩১ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ৬০ শতাংশ কোরবানির সময় এবং বাকি ৪০ শতাংশ সারা বছর ধরে সংগৃহীত চামড়ার মাধ্যমে গড়ে উঠেছিল দেশের একটি সমৃদ্ধ শিল্প খাত। এই শিল্পের সাথে যুক্ত রয়েছে শত শত ট্যানারি, হাজারো শ্রমজীবী মানুষ এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের বড় একটি উৎস।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘পূর্ববর্তী সরকার পরিকল্পিতভাবে এই খাতকে ধ্বংস করেছে। চামড়া সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণের কোনো কার্যকর ব্যবস্থার অভাবে প্রতিবছর কোরবানির মৌসুমে বিপুল পরিমাণ চামড়া নষ্ট হয়, যা দেশের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলছে।’
মাওলানা যাকারিয়া বলেন, ‘এদেশের কওমি মাদরাসাগুলোর শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টরা যুগ যুগ ধরে কোরবানির সঠিক নিয়ম অনুযায়ী পশু জবাই ও মানবসেবায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। মাদরাসাগুলো চামড়াভিত্তিক নয়; তারা আল্লাহর ওপর ভরসা করেই পরিচালিত হয়। তবুও একটি মহল কৌশলে চামড়া শিল্প ধ্বংস করে কওমি মাদরাসার ওপর প্রভাব ফেলতে চেয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘চামড়া গরিবের হক। এর মূল্য নষ্ট হওয়া মানে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে তাদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করা। এর প্রভাব সমাজ ও দেশের সার্বিক উন্নয়নে নেতিবাচকভাবে পড়বে।’
চামড়া শিল্প রক্ষায় আন্তরিকতা ও দূরদর্শিতার সাথে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শুধু কোরবানির সময় ঋণ সহায়তা নয়, ট্যানারি এলাকাগুলোকে পরিবেশবান্ধব করতে হবে এবং আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে বিদেশি ক্রেতাদের আস্থা ফেরাতে হবে। এতে করে চামড়া শিল্প আবারও দেশের অর্থনীতির মূলধারায় অবদান রাখতে পারবে।’
হাআমা/