ইউক্রেন যুদ্ধ ইস্যুতে চীনের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক চাপ বাড়ানোর জন্য ইউরোপীয় দেশগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে আহ্বান জানিয়েছেন, তা স্পষ্টভাবে নাকচ করেছে বেইজিং।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তারা যেকোনো ধরনের অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগের উদ্যোগের কড়া বিরোধিতা করে। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুও জিয়াকুন সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা চীনকে বারবার এই সঙ্কটে টেনে আনার প্রচেষ্টার বিরোধিতা করি এবং তথাকথিত অর্থনৈতিক চাপের বিরুদ্ধেও কঠোর আপত্তি জানাই।”
চীন এখনো পর্যন্ত রাশিয়ার আগ্রাসন নিন্দা করেনি বা সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানায়নি। পশ্চিমা দেশগুলো মনে করে, বেইজিং পরোক্ষভাবে মস্কোকে সহায়তা করছে। তবে চীন নিজেদের নিরপেক্ষ দাবি করে আসছে এবং বারবার যুদ্ধবিরতির ওপর জোর দিয়েছে। পাশাপাশি তারা অভিযোগ করেছে—পশ্চিমা শক্তিরা অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হোয়াইট হাউসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এএফপিকে জানান, প্যারিসে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে ট্রাম্প ইউরোপকে রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করার আহ্বান জানান। তার মতে, রাশিয়ার তেল ক্রয় যুদ্ধে অর্থের যোগান দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর আগেই ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মস্কো ও বেইজিং ‘সীমাহীন অংশীদারত্ব’ ঘোষণা করে। এরপর থেকে দুই দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে।
সম্প্রতি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির ৮০ বছর উপলক্ষে মস্কোয় আয়োজিত সামরিক কুচকাওয়াজে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের পাশাপাশি অংশ নেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এ ঘটনায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকসহ অনেকেই সমালোচনা করেন।
চীন অবশ্য জানিয়েছে, তারা কেবল শান্তিকামী দেশ ও জনগণের সঙ্গে ইতিহাস স্মরণ করতেই বিদেশি অতিথিদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে। তবে এক সাংবাদিক যখন দু’বার প্রশ্ন করেন—চীন কি রাশিয়াকে ‘শান্তিকামী দেশ’ মনে করে?—তখন মুখপাত্র গুও জিয়াকুন সরাসরি ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ কোনো জবাব দেননি।
সূত্র: এএফপি