আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, গত বছরের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের সময় হত্যা, নির্যাতনসহ সংঘটিত মানবতাবিরোধী সকল অপরাধের কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমানে ভারতে পলাতক আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা।
রবিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১–এ বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চে মামলাটির সূচনা বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। মামলার শুরুতে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান প্রথম বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, “জুলাই আন্দোলনের সময় সংঘটিত অপরাধগুলো শেখ হাসিনার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার উদ্দেশ্যে সংগঠিত হয়েছিল। তিনি ছিলেন এই সমস্ত অপরাধের মূল পরিকল্পনাকারী ও কেন্দ্রবিন্দু। অপর আসামিরা বুঝতেন, শেখ হাসিনার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে পারলেই তারা নিরাপদ ও পুরস্কৃত হবেন।”
তিনি আরও জানান, মামলাটির তদন্ত শুরু হয় ২০২৪ সালের ১৬ আগস্ট। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয় ১২ মে, যা ট্রাইব্যুনাল ১ জুন আমলে নেয়। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হয় চলতি বছরের ১০ জুলাই। রবিবার মামলার সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়।