জুলাই প্রত্যাশা বাস্তবায়নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের লড়াই অব্যাহত থাকবে

আজ ৪ জুলাই, শুক্রবার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নিয়মিত বৈঠকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ বলেছেন,জুলাই অভ্যুত্থানের প্রধান চাওয়া ছিলো দেশকে চিরদিনের জন্য স্বৈরাচারমুক্ত করা। এই চাওয়া পূরণ করতে হলে দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও নির্বাচন পদ্ধতি পরিবর্তন করে পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা ছাড়া কোন বিকল্প নাই। পিআর নিয়ে দেশের রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে একধরণের ঐকমত্য তৈরি হয়েছে। গণমানুষও পিআরের পক্ষে তাদের অবস্থান জানিয়েছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পিআর নিয়ে দেশের বুদ্ধিজীবি, শিক্ষাবিদ ও অংশীজনদের সাথে বোঝাপড়া আরো ঘনিষ্ট করতে চায়। তারই অংশ হিসেবে আগামী ১২ জুলাই রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ,বুদ্ধিজীবি ও অংশীজনদের নিয়ে গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করা হবে। পিআর বাস্তবায়নে প্রায়োগিক যেসব সমস্যার কথা নানাজন বলেছেন তা নিয়ে বুদ্ধিবৃত্তিক ও কৌশলগত আলোচনায় অংশ নেবেন শীর্ষ রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবি ও অংশীজনেরা। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব আশা প্রকাশ করে বলেন, পিআর নিয়ে প্রায়োগিক মাত্রার সকল প্রশ্নের সমাধান উঠে আসবে ১২ জুলাইয়ের গোলটেবিল বৈঠক থেকে।

জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির কর্মসূচি ও তার বাস্তবায়ন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় দলের নিয়মিত বৈঠকে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১৬ ‍জুলাই শহীদ দিবসে দেশের প্রতিটি থানায় শহীদদের কবর জিয়ারত ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করা হবে। আহতদের সন্মাননা প্রদান করা হবে এবং স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাত করা হবে। আগামী ৫ আগস্ট দেশের প্রতিটি থানায় গণমিছিল অনুষ্ঠিত হবে এবং ঢাকায় দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করা হবে। ৫ আগস্ট সকাল থেকে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় কুরআন খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। সকাল এগারোটা থেকে ডকুমেন্টারি প্রদর্শন ও জুলাই স্মৃতিচারণা অনুষ্ঠান হবে। বিকাল দুইটা থেকে সমাবেশ ও গণমিছিলের কার্যক্রম শুরু হবে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব মিটিংয়ের আলোচনার সূত্র উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের মতো একটি মুসলিম প্রধান দেশ যেখানে ঐতিহ্যগতভাবে এবং সাংস্কৃতিকভাবে সমকামীতাকে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয় সেখানে জাতীসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি হিসেবে একজন সমকামীকে নিয়োগ দেয়ার অর্থ হলো দেশের মানুষের বোধ-বিশ্বাসকে অসম্মান করা। জাতীসংঘ আমাদের ঐতিহ্য ও বোধ-বিশ্বাসকে অসম্মান করবে এটা আমরা ভাবতেও পারি নাই। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চায়, প্রস্তাবিত আবাসিক প্রতিনিধি হিসেবে যাকে প্রস্তাব করা হয়েছে তাকে প্রত্যাহার করে নেয়া হোক।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি স্থায়ী কোন সমস্যা না। বিগত ফ্যাসিস্ট হাসিনা যে খুন-গুম করেছে তার সমাধান করার জন্য দেশের আইন ও বিচার ব্যবস্থাই যথেষ্ট। এর জন্য জাতীসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিস স্থাপন করার কোন কারণ নাই। এই অফিস স্থাপনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

দলের মাসিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন,দলের যুগ্মমহাসচিব ও মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, সহকারী মহাসচিব কেএম আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমদ আব্দুল কাইয়ুম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ইফতেখার তারিক, শেখ ফজলুল করীম মারুফ, মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, আলহাজ্ব হারুনুর রশিদ, মাওলানা নুরুল করীম আকরাম, এবিএম জাকারিয়া, মুফতি কেফায়েতুল্লাহ কাশফি, এডভোকেট শওকত আলী, আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান মুজাহিদ, মুফতি হেমায়েতুল্লাহ কাসেমী,মাওলানা খলিলুর রহমান,মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাসেম, শাইখুল হাদিস আল্লামা মকবুল হোসাইন,আলহাজ্ব জান্নাতুল ইসলাম, মাওলানা শোয়াইব আহমদ, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, এডভোকেট হাসিবুল ইসলাম, জিএম রুহুল আমীন, শেখ মুহাম্মাদ জয়নাল আবেদিন, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, কেএম শরীয়াতুল্লাহ, এডভোকেট বরকাতুল্লাহ লতিফ, প্রফেসর নাসির উদ্দিন, মানসুর আহমাদ সাকী, মাওলানা রেজাউল করীম আবরার, মুফতি সামসুদ্দোহা আশ্রাফী, আলহাজ্ব আল মুহাম্মাদ ইকবাল।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

হেফাজতের নতুন কমিটি ঘোষণা

আনসারুল হক

ক্ষমতায় গেলে আফগানিস্তানের মতো বাংলাদেশ বানাতে চাই: মুফতি ফয়জুল করীম

আনসারুল হক

মোদির বাংলাদেশ সফরে সাধারণ মানুষ খুশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আলাউদ্দিন