চার্লি কার্ক ছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং ‘টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ’ এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা। মাত্র ১৮ বছর বয়সে তিনি এই সংগঠনটি গড়ে তুলেছিলেন, যা তরুণ ভোটারদের মধ্যে ট্রাম্প সমর্থন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তিনি নিয়মিত ফক্স নিউজে উপস্থিত হতেন এবং ‘দ্য চার্লি কার্ক শো’ নামে জনপ্রিয় পডকাস্ট ও রেডিও অনুষ্ঠান পরিচালনা করতেন। সামাজিক মাধ্যমে তাঁর অনুসারীর সংখ্যা ছিল ৫৫ লাখের বেশি।
কার্কের রাজনৈতিক অবস্থান বিতর্কিত ছিল। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে সাদা মানুষদের ওপর হামলার বেশি নজর দেন, আফ্রো-আমেরিকান আন্দোলনকে ‘ভ্রান্ত ধারণা’ বলে অভিহিত করতেন। ইসলাম ও গর্ভপাত নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিলেন। এছাড়া অস্ত্র রাখার সাংবিধানিক অধিকার ও ইসরায়েলের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন প্রকাশ করতেন।
প্রাথমিকভাবে দুজন সন্দেহভাজনকে আটক করা হলেও প্রমাণের অভাবে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। হামলাকারীর পরিচয় এখনও অজানা। ইউটার গভর্নর স্পেনসার কক্স হত্যাকাণ্ডকে সরাসরি রাজনৈতিক সহিংসতা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক মহলে হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানানো হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এটিকে ‘আমেরিকার অন্ধকারময় মুহূর্ত’ আখ্যা দিয়েছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, জো বাইডেন, বিল ক্লিনটন ও জর্জ বুশসহ শীর্ষ নেতারা এটিকে গণতন্ত্রের জন্য ভয়াবহ হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও রাশিয়ার বিশেষ দূত কার্কের অবস্থান স্মরণ করেছেন। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারও নিন্দা জানিয়েছেন।
৩১ বছর বয়সে কার্কের হত্যাকাণ্ড যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক সহিংসতার ভয়াবহ মাত্রা সামনে এনেছে। সমর্থকেরা তাঁকে দেশপ্রেমিক ও নির্ভীক নেতা হিসেবে স্মরণ করছেন, আর সমালোচকেরা বলছেন, তাঁর উসকানিমূলক রাজনীতি দ্বন্দ্বকে ঘনীভূত করেছে।