নাগরিক মত উপেক্ষা করে স্পর্শকাতর বিষয়ে একক সিদ্ধান্ত সরকারের অধিকার নয়

আবদুল্লাহ ফিরোজী
সাভার প্রতিনিধি

ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয় স্থাপন চুক্তির প্রতিবাদে সাভারে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ঢাকা জেলা উত্তর। আজ ২৫ জুলাই শুক্রবার বাদ আসর সাভার মডেল মসজিদের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জমিয়ত ঢাকা জেলা উত্তরের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মুফতি আমিনুল ইসলাম কাসেমী।

প্রধান অতিথি ছিলেন জমিয়তের কেন্দ্রীয় নেতা ও যাদুরচর মাদরাসার মুহতামিম প্রবীণ আলেমেদ্বীন শায়খুল হাদীস হাফেজ মাওলানা আলী আকবর কাসেমী।

মুফতি ফেরদাউস মাহমুদ ও মুফতি মারজানুল বারী সিরাজীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জমিয়ত ঢাকা জেলা উত্তরের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-১ আসনে জমিয়তের প্রার্থী মুফতি মাহবুবুর রহমান নবাবগঞ্জী, সাভার থানা জমিয়তের সভাপতি ও ঢাকা-১৯ আসনে জমিয়তের সম্ভাব্য প্রার্থী মুফতি আলী আশরাফ তৈয়ব, সাভার থানা জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক মুফতি নাজমুল হাসান বিন নূরী, আশুলিয়া থানা জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক মুফতি হুমায়ুন সাঈদ, মাওলানা বজলুর রহমান বাদশাহ, মুফতি মামুনুল হাসান গনীপুরী, মুফতি এহসান বিন মুহসিন প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাফেজ মাওলানা আলী আকবর কাসেমী বলেন, দেশের ওলামায়ে কেরাম ও ইসলামী দলগুলোর টানা প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ও উদ্বেগ সত্ত্বেও অন্তর্বর্তী সরকার ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপন চুক্তিতে সই করায় আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। নাগরিকদের মতামত ও উদ্বেগ উপেক্ষা করে কোনো স্পর্শকাতর ইস্যুতে এককভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার এই সরকারের নাই। অবিলম্বে এই চুক্তি বাতিল না করলে জমিয়ত দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।

তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস সাধারণত যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোতেই দেখা যায়। বাংলাদেশ কোনো যুদ্ধপীড়িত দেশ না হওয়া সত্ত্বেও এখানে তাদের অফিস করতে চাওয়াটা রহস্যজনক। সমকামী তথা এলজিবিটি ইস্যুটি জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের মানবাধিকার দর্শন ও নীতিমালার অন্তর্ভুক্ত। বাংলাদেশের ধর্মীয়-সামাজিক মূল্যবোধ অবজ্ঞা করে একজন সমকামী ব্যক্তিকে এদেশে জাতিসংঘের নতুন দূত নিয়োগ দেয়ার সংবাদ গণমাধ্যমে এসেছে। আমাদের দেশে নারী ইস্যুর আড়ালে অভিশপ্ত এলজিবিটি সম্প্রদায় প্রকাশ্যে নানা অপতৎপরতা শুরু করেছে। অবিলম্বে এসব বন্ধ করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে মুফতি আমিনুল ইসলাম কাসেমী বলেন, মার্কিন স্বার্থ রক্ষায় তাঁবেদার জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস এ দেশে হতে দেয়া হবে না। ফিলিস্তিনে গত ৩০ বছর ধরে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস থেকেও কোন লাভ হয়নি। ফলে বাংলাদেশকে আমরা নতুন যুদ্ধক্ষেত্র বানানোর ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হতে দেব না। সমাবেশ শেষে বিশাল মিছিল ঢাকা আরিচা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করে। জমিয়ত নেতাকর্মীদের শ্লোগানে মুখরিত হয় গোটা এলাকা।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

পুরান ঢাকার বাকরখানি খেয়ে মুগ্ধ নরওয়ের রাষ্ট্রদূত

নূর নিউজ

অবৈধ মুঠোফোন বন্ধের প্রযুক্তি চালু জুলাইয়ে

আনসারুল হক

নদীতে গোসল করতে নেমে প্রাণ হারায় হাফেজ তাসিম বিল্লাহ

আনসারুল হক