নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে এমন কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা সংসারে অশান্তি সৃষ্টি, নারী-পুরুষের মধ্যে বিরোধ এবং সমাজে অশ্লীলতার প্রসার ঘটাতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বক্তারা। এছাড়া এসব প্রস্তাব বাতিলের দাবিও জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সম্মিলিত নারী প্রয়াসের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।
সংগঠনের সভানেত্রী ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনীমের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ মানববন্ধনে অংশ নেন চিকিৎসক, শিক্ষিকা, রাজনৈতিক নেতা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্রী, মানবাধিকার কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ব্যক্তিরা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে হিজাব-নিকাব পরা নারীও উপস্থিত ছিলেন। সমাজের বৃহৎ অংশের নারীদের বাদ দিয়ে কীভাবে নারী সংস্কারের প্রস্তাব করা হয়েছে, তা নিয়ে আমাদের সন্দেহ রয়েছে।
তারা বলেন, ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী নারীদের যে সম্মান ও মর্যাদা রয়েছে, প্রস্তাবিত নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব তা ক্ষুণ্ন করেছে। এমন সংস্কার পারিবারিক বন্ধন ও সামাজিক সৌন্দর্যকে ব্যাহত করতে পারে।
বক্তারা দাবি করেন, সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবগুলো নারীর অধিকার সংরক্ষণের পরিবর্তে বিরোধপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি করছে। কোরআনের নির্ধারিত নীতিমালার বাইরে যাওয়ার সুযোগ মুসলমানদের নেই। দুটি ভিন্ন নিয়ম একই দেশে চলতে পারে না।
এই সংস্কার প্রস্তাব কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় এবং একে দ্রুত বাতিল করার দাবিও জানিয়েছেন তারা।