আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রশাসনের কাঠামোয় কিছু পরিবর্তন আনা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
তিনি বলেন, “নির্বাচনের আগে প্রশাসনের কিছু জায়গায় রদবদল হবে। তবে সব জায়গায় নয়—যেখানে প্রয়োজন সেখানে এই পরিবর্তন আনা হবে।”
সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও জানান, নির্বাচনী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী থেকে ৬০ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হবে, যারা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বর থেকে প্রায় দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, “জাতীয় নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর মধ্যে সমন্বয় জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।”
এর আগে রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন তিনি নিজে এবং উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও বিভিন্ন বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বৈঠকে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা ছাড়াও নির্বাচনকে অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে করণীয় বিষয়ে বাহিনী প্রধানদের দিকনির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টা।