বিক্ষোভকারীদের মৃত্যু, দুর্নীতি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের প্রতিবাদে নেপালে চলমান আন্দোলন মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ভয়াবহ রূপ নেয়। পরিস্থিতি অবনতির মুখে পদত্যাগ করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি ও প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পাউডেল।
প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পর বিক্ষুব্ধ জনতা পার্লামেন্ট ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দিউবার বাসভবনেও হামলা হয়। শত শত বিক্ষোভকারী তার বাসায় প্রবেশ করে দিউবা ও তার স্ত্রীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হামলার পর সাবেক এই নেতাকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঘাসের ওপর বসে থাকতে দেখা যায়, পাশে ছিলেন সেনা সদস্যরা।
পরবর্তীতে সেনাবাহিনী দ্রুত অভিযান চালিয়ে দিউবা দম্পতিকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়।
এর আগে সোমবার নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ১৯ বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়, যাদের অধিকাংশই স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় উত্তেজনা চরমে পৌঁছে যায়। কারফিউ চলমান থাকা সত্ত্বেও মঙ্গলবার সকাল থেকে হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় সেনাপ্রধান সদ্যবিদায়ী প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলিকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। তার পরামর্শেই ওলি পদত্যাগ করেন।
এদিকে শোনা যাচ্ছে, পদত্যাগের পর কেপি শর্মা ওলি দেশ ছেড়ে দুবাইয়ে পাড়ি জমাবেন।
সূত্র: এনডিটিভি