বিদ্যুত নিয়ে দলীয় মন্ত্রী ও উপদেষ্টার বক্তব্য জনগণের সাথে তামাশা

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, বিদ্যুত নিয়ে সরকারের জ্বালানী উপদেষ্টার বক্তব্য ‘দিনের বেলায় বিদ্যুত ব্যবহার বন্ধ রাখার শপথ নিতে হবে’ এধরনের বক্তব্য জনগণের সাথে তামাশার শামিল। জ্বালানীমন্ত্রীর বক্তব্যে পুরোদেশবাসী যখন ক্ষুব্ধ, তখন তথ্যমন্ত্রী মালিশ দিয়ে বলছেন, দিনের বেলায় বিদ্যুত ব্যবহার বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়নি। তাহলে কার বক্তব্য সঠিক। এভাবে জনগণকে তারা খেলার পুতুল বানিয়েছে। তিনি বলেন, নিত্যপণ্যের কষাঘাতে জনগণের জীবন অস্থির করে তুলেছে। এরমধ্যে চিনি নিয়ে সিন্ডিকেট জনগণের জীবন নাভিশ্বাস।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারি মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, আলহাজ্ব হারুন অর রশিদ, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, এম বরকত উল্লাহ লতিফ, মাওলানা খলিলুর রহমান, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী প্রমুখ।

দলের মহাসচিব বলেন, মাছধরা নিষিদ্ধ সময়ে জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল সরকার দলীয় স্থানীয় নেতারা ভাগ করে নিয়ে জেলেদের বঞ্চিত করে। এভাবে তৃণমূলসহ সর্বত্র দুর্নীতির অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে দেশ।
তিনি বলেন, সীমাহীন লুটপাট, দুর্নীতি, অপশাসনের মাধ্যমে ভোট ডাকাত সরকার দেশকে দুর্ভিক্ষের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। অবৈধভাবে কুক্ষিগত করে রাখা গদি হারানোর ভয়ে সরকার এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীরা দিশেহারা হয়ে পরছে। সরকার দেশকে দেউলিয়া করেছে। এতদিন রিজার্ভ নিয়ে বড়াই করলেও ৪২ বিলিয়ন ডলার কোথায় তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কিছু বলছেন না।
তিনি বলেন, দেশকে যারা রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিকভাবে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে তারা জনগণের বন্ধু হতে পারে না। লুটপাটের হিসেব আল্লাহর কাছে দিতে হবে। সেখানে এক কদমও সামনে বাড়ার এখতিয়ার থাকবে না।
এছাড়াও পূর্ব ঘোষিত শিক্ষা সিলেবাসে ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবিতে আগামী ১০ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিমুখে বিশাল গণমিছিলও স্মারকলিপি  পেশ কর্মসূচি নিয়ে বিশদ আলোচনাশেষে কিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এদিকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের এক সভা নগর সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন সেক্রেটারী মুহাম্মদ আবদুল আঊয়াল মজুমদার, ডা. শহিদুল ইসলাম, কেএম শরীয়াতুল্লাহ,র্ রমক মহ্মিবমদ সাইফুল ইসলাম, মুফতী আব্দুল আহাদ, মাওলানা নজরুল ইসলাম, আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম খোকন প্রমুখ। সভায় ৩ ও ৪ নভেম্বর জাতীয় সীরাত সম্মেলন ও সীরাত মাহফিল প্রস্তুতি পর্যালোচনা হয়।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এটা একটা মাফিয়ার দেশে পরিণত হয়েছে। জনগণের ভোটে নির্বাচত নয় এই সরকার আজকে জোর করে ক্ষমতা দখল করে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে। তিনি আরও বলেন, আমরা যখন চুরি-চামারির কথা বলি, গায়ে লাগে তাদের। গায়ে লাগার কিছু নাই, চুরি করলে মাথা নিচু করে থাকতে হবে। সময় আসছে, যখন তাদের মাথা নিচু করে এ দেশ থেকে চলে যেতে হবে। আজ শনিবার দুপুরে ঝিনাইদহে জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ফখরুল বলেন, প্রত্যেকটি চোরের-ডাকাতের বিচার হবে এ দেশে। তারা বিচার বিভাগকে ধ্বংস করেছে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। প্রশাসনকে দলীয়করণ করেছে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। তাই আওয়ামী লীগকে আর ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া যাবে না। তিনি বলেন, এরা কোনো নির্বাচিত সরকার নয়। এরা কোনো নির্বাচনে জয় লাভ করতে পারেনি। শুধুমাত্র রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে বিভিন্ন আধিপত্যবাদী, পরাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে জোর করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। আমাদের সমস্ত স্বপ্ন, আশা-আকাঙ্ক্ষা আছে তা ধ্বংস করে দিচ্ছে। ৬ শতাধিক নেতা-কর্মীকে গুম করেছে। ৩৫ লাখের বেশি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। তারা একই কায়দায় এ দেশ শাসন করতে চায়, বিরোধী সব মতকে দমন করতে চায়, গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষাকে ধ্বংস করতে চায়। আবারও তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রক্ত ঝরিয়েছে। আমাদের ছাত্রদলের নেতাদের নির্মমভাবে পিটিয়ে-গুলি করে আহত করেছে। খুলনায় গত পরশু তারা মিটিংয়ে আক্রমণ করেছে। বিভিন্ন জায়গায় তারা সন্ত্রাস করে, ভয় দেখিয়ে, রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে আবারও মানুষের অধিকার আদায়ের যে সংগ্রাম তা ধ্বংস করে দিতে চায়। এবার জেগে উঠছে মানুষ। আমাদের নেতা তারেক রহমান যে পতাকা উত্তোলন করেছেন তা এ দেশের মানুষের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের পতাকা। যে পতাকা শহীদ জিয়াউর রহমান তুলে ধরেছিলেন, মানুষের সামনে নিয়ে এসেছিলেন; বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ, বলেন তিনি। আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমরা কোথাও চাকরি পাই না। আমাদের ছেলে-মেয়েরা পাস করে যায় কিন্তু তাদের চাকরি দেওয়া হয় না। অথচ ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে বলেছিল, ঘরে ঘরে চাকরি দেবে; ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবে; বিনা পয়সায় সার দেবে। যেখানে যাবে শুধু পয়সা। পুলিশ কনস্টেবলের চাকরি পেতে হলে ২০ লাখ টাকা কমপক্ষে লাগে, তাও পাবেন না যদি আওয়ামী লীগ না হন। এ দেশকে তারা লুটপাটের রাজত্ব বানিয়েছে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে সত্যিকার অর্থে জনগণের রাষ্ট্রে পরিণত করার আহ্বান জানান তিনি। বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, এই দেশে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আর কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। তাদের অবিলম্বে পদত্যাগ এবং নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সেই সরকার যে নির্বাচন কমিশন গঠন করবে, সেই কমিশনের পরিচালনায় সবার অংশগ্রহণে একটি নির্বাচন হবে।

নূর নিউজ

ইউনাইটেড হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের চার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ

আলাউদ্দিন

দেশবাসীর প্রতি আলোকসজ্জা না করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

নূর নিউজ