সারা বিশ্বে একযোগে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা পালনে বিভ্রান্তি নিরসনে দালিলিক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ রবিবার (১লা জুন) সকাল ১০টায় দাওয়াতুস সুন্নাহ বাংলাদেশের উদ্যোগে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
লালবাগ মাদরাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী। দলীলভিত্তিক লিখিত প্রবন্ধ পাঠ করেন দাওয়াতুস সুন্নাহ বাংলাদেশের পরিচালক মুফতি জুবায়ের বিন আব্দুল কুদ্দুস।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ফরিদাবাদ মাদরাসার মুহাদ্দিস মুফতি ইমামুদ্দিন, মুফতি লুৎফুর রহমান ফরায়েজী, ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মুফতি গোলাম রব্বানী, মুফতি আবু বকর সিদ্দিক, মুফতি সাইফুল্লাহ হাবিবি, মুফতি নাসির উদ্দিন নূরী, মুফতি আল আমিন আজাদ ও মুফতি মামুনুর রশিদসহ বিজ্ঞ ওলামায়ে কেরাম।
সভায় বক্তারা বলেন, একই দিনে রোজা ও ঈদ পালন মূলত একটি নয়া ফিতনা। এর মূলে রয়েছে কতিপয় ব্যক্তি ও গোষ্ঠির ধর্মীয় বিষয়ে অজ্ঞতা, হটকারিতা এবং গোঁড়ামি। এরা জ্যোতির্বিজ্ঞান ও ধর্মীয় জ্ঞানকে এক সাথে গুলিয়ে যুক্তি দেন। শরীয়তের বিধান অনুযায়ী লোনার ক্যালেন্ডার বা জ্যোতির্বিজ্ঞানের হিসাব নয়, রোজা ও দুই ঈদ চাঁদ দেখেই পালন করতে হয়।
বক্তারা বলেন, নবীজী (সা.)-এর যুগ থেকে ১৪০০ বছর পর্যন্ত এই ভ্রান্ত রীতির কোনো অস্তিত্ব ছিল না। কয়েক যুগ আগে চাঁদপুর জেলার একটি অজপাড়া গ্রামে এটি শুরু হয়। বর্তমানে বেশ কয়েকটি জেলায় এই কার্যক্রম চলমান। আলেম ও পীর নামদারি কতিপয় ভন্ড এই ফেতনার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তারা মূলত ইসলামের নামেই ইসলাম বিরোধী শক্তির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন।
তারা আরও বলেন, দেশের ১৮ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে একটি ক্ষুদ্র অংশ এই রীতি পালন করে। তারা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে রোজা ও ঈদ পালন করে মুসলিম জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে। ধর্মপ্রাণ সাধারণ মুসলমানদের ঈমান রক্ষায় এ অপতৎপরতার বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে দেশের সর্বস্তরের উলামায়ে কেরামকে সোচ্চার হতে হবে এবং মুসলমানদেরকে সচেতন করতে হবে। সমাজে শান্তি ও ঐক্য বিনষ্টকারী ফেতনা দমনে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ শুধু আলেমদের নয়, মুসলিম দেশের শাসক গোষ্ঠীরও নৈতিক দায়িত্ব। সেই হিসেবে বাংলাদেশের সরকার কোনোভাবেই এর দায় এড়াতে পারে না।