মাহমুদুল হাসান
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অপহরণের ৫ দিন পর ফজলুল করিম-(২০) নামে এক মাদরাসা ছাত্রকে উদ্ধার করেছে সদর থানার পুলিশ। এ সময় অপরহরণকারী তৌসিফ মাহবুব ওরফে হৃদয়- (২৬) কে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাবের সহযোগীতায় সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মোজাফফর হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলার চিটাগাং রোডের শিমরাইল এলাকা থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার ভোর রাতে তাদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় আনা হয়।
উদ্ধার হওয়া ফজলুল করিম জেলার নবীনগর উপজেলার বিদ্যাকুট ইউনিয়নের মোহল্লা গ্রামের এম.এ কাইয়ুম মিয়ার ছেলে। বর্তমানে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর সিরাজনগরের মলাই ঢালীর বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করেন।
অপহরণকারী তৌসিফ মাহবুব ওরফে হৃদয় নবীনগর উপজেলার কাইতলা উত্তর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের মোঃ মিজানের ছেলে।
পুলিশ ও উদ্ধারকৃত ফজলুল করিমের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ জুন রোববার সন্ধ্যা পৌনে ৭ টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর সিরাজিয়া দারুল উলুম মাদরাসার সামনে থেকে ফজলুল করিমকে অপহরণ করে নিয়ে যায় অপহরণকারী।
পরবর্তীতে ফজলুল করিমের পিতা এম.এ কাইয়ুম মিয়ার মোবাইল নাম্বারের ইমো আইডিতে ফোন দিয়ে ২ কোটি টাকা মুক্তিপন দাবি করে অপহরণকারী তৌসিফ মাহবুব ওরফে হৃদয়। টাকা না দিলে ফজলুল করিমকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়।
এ ঘটনায় অপহৃত ফজলুল করিমের পিতা এম.এ. কাইয়ুম বাদী হয়ে প্রথমে সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী এবং গত ২৫ জুন সদর মডেল থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পরই ভিকটিমকে উদ্ধারে নামে পুলিশ। র্যাবের সহযোগীতায় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলার চিটাগাং রোডের শিমরাইল এলাকা থেকে ভিকটিমকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার ও অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মোজাফফর হোসেন জানান, পিতার অসুখের কথা বলে ফজলুল করিমকে কৌশলে অপহরণ করে নিয়ে যায় তৌসিফ মাহবুব ওরফে হৃদয়। পরে ফজলুল করিমের পিতা এম.এ কাইয়ুম মিয়ার মোবাইল নাম্বারের ইমো আইডিতে ফোন দিয়ে ২ কোটি টাকা মুক্তিপন দাবি করে অপহরণকারী তৌসিফ মাহবুব। টাকা না দিলে ফজলুল করিমকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়। তথ্য প্রযুত্তির মাধ্যমে আমরা তার অবস্থান শনাক্ত করে ভিকটিমকে উদ্ধার ও অপরহরণকারীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।