- আনসারুল হক ইমরান
সরাইলের শাহবাজপুরে মসজিদের ছাদে ময়নার লা’শ উদ্ধারের ঘটনায় ইমাম ও মুয়াজ্জিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অথচ গতকাল তদন্তকারী কর্মকর্তা স্থানীয় উলামায়ে কেরামকে আশ্বস্ত করেছিলেন যে, ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ রিপোর্ট পাওয়ার পর তাদের সংশ্লিষ্টতা না পেলে তাঁদের সম্মানের সঙ্গে মুক্তি দেওয়া হবে। সেই আশ্বাসের ২৪ ঘণ্টা না যেতেই রিমান্ডে নেয়া আমাদের কাছে বোধগম্য নয়।
আমরা আইন ও বিচারের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধাশীল। তদন্তের স্বার্থে প্রশ্ন থাকতেই পারে—ইমাম-মুয়াজ্জিনকে জিজ্ঞাসাবাদও করা যেতে পারে। তবে রিমান্ড নিয়ে শারীরিক ও মানসিক চাপ প্রয়োগ নিরীহ মানুষের জন্য বড় রকমের হয়রানি।
এই ঘটনায় যদি কেউ প্রকৃত দোষী হয়, আইন অনুযায়ী তাঁর সর্বোচ্চ শাস্তি হোক—সেই দাবিতেই আমরা একমত। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, শুধু ইমাম ও মুয়াজ্জিনকেই কেন রিমান্ডে নেওয়া হলো? আমরা শুনছি, আরও দুইজনকে আটক করা হয়েছে—তাঁদেরকে কেন রিমান্ডে নেওয়া হয়নি?
সরাইল উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্তৃপক্ষের প্রতি আমাদের আহ্বান—বিষয়টিকে দয়া করে ঘোলাটে করবেন না। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নিরীহ ইমাম-মুয়াজ্জিনকে যেন কেবল সন্দেহের ভিত্তিতে আইনের মারপ্যাঁচে ফেলে শাস্তি দেওয়া না হয়, সে দিকে আপনাদের সতর্ক দৃষ্টি কামনা করছি।
আমরা সুষ্ঠু তদন্ত চাই, ময়না হ’ত্যার ন্যায়বিচার চাই।