সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের দেশ বাংলাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গানের শিক্ষক নিয়োগ সরকারের এক গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। ইসলামী সংস্কৃতি, মূল্যবোধ ও আত্মপরিচয়কে বিলুপ্ত করার লক্ষ্যে কিছু বিদেশি এনজিওপন্থী মহল দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা ব্যবস্থায় ইসলামবিরোধী মতাদর্শের অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে আসছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি শাইখুল হাদিস মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক ও মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী এসব কথা বলেন।
নেতৃদ্বয় বিবৃতিতে আরো বলেন, ইসলামি সংস্কৃতিবিরোধী এই সিদ্ধান্ত ইসলামপ্রিয় জনতা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। দেশের লক্ষ লক্ষ প্রাথমিক শিক্ষার্থীকে ছোটবেলা থেকেই নৈতিকতা, ইসলামি মূল্যবোধ ও চরিত্র গঠনের শিক্ষার পরিবর্তে গান-বাজনার নামে মন-মানসিকতা ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়ার একটি দুরভিসন্ধিমূলক পরিকল্পনা।
তারা আরো বলেন, শিক্ষা একটি আদর্শিক ও মূল্যবোধসম্পন্ন খাত। এখানে ইসলাম ও বাঙ্গালির আত্মপরিচয়ের বিপরীতমুখী উপকরণ সংযোজন সংবিধান, দেশের সংস্কৃতি ও সংখ্যাগরিষ্ঠের অনুভূতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
নেতৃদ্বয় বলেন, যে দেশে লক্ষ লক্ষ শিশু প্রতিদিন কুরআন-হাদিস, নৈতিকতা ও নৈতিক সংস্কৃতির পাঠ নিয়ে বড় হচ্ছে, সেই দেশে নৈতিক শিক্ষা বাদ দিয়ে গানের শিক্ষক নিয়োগ একটি পরিকল্পিত ধর্মবিমুখ নীতির বহিঃপ্রকাশ। এটি কার স্বার্থে, কার উদ্দেশ্যে এবং কীসের ভিত্তিতে করা হচ্ছে,তা জাতি জানতে চায়।
আরো বলেন, দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধর্মনিরপেক্ষতার মোড়কে অধর্মের পথে পরিচালনা করার এই ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়া প্রতিটি দেশপ্রেমিক ও ঈমানদার মানুষের কর্তব্য। আমরা সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি,অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। অন্যথায় দেশের আলেমসমাজ, শিক্ষক, অভিভাবক ও সাধারণ মুসলমানদের প্রতিবাদ বিক্ষোভ অপ্রতিরোধ্য রূপ ধারণ করবে।
অবিলম্বে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গানের শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত বাতিল করে শিশুদের চরিত্র গঠনে ধর্ম শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি জানান তারা।