সম্ভাব্য যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে তুরস্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ইসরাইল ও ইরানের মধ্যকার চলমান সংঘাতের প্রেক্ষাপটে সম্ভাব্য যেকোনো পরিস্থিতির জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে তুরস্ক। দেশটি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদারের পাশাপাশি সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা, বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাতে।

রয়টার্সকে দেওয়া এক বিবৃতিতে তুর্কি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, তুরস্ক বর্তমানে নিজস্ব উৎপাদিত রাডার এবং অস্ত্রব্যবস্থা ব্যবহার করে সমন্বিত আকাশ ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা গড়ে তোলার কাজ করছে। এর প্রধান উদ্দেশ্য হলো সম্ভাব্য যুদ্ধ পরিস্থিতিতে প্রস্তুতি বজায় রাখা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সূত্রটি আরও জানায়, ইসরাইল যখন ইরানে হামলা শুরু করে, তখন তুরস্কের ‘কুইক রিঅ্যাকশন অ্যালার্ট’ বিমানগুলো আকাশে উড্ডয়ন করে এবং ইসরাইলি আকাশসীমা লঙ্ঘনের আশঙ্কার মধ্যেও সীমান্ত বরাবর টহল চালিয়ে যেতে থাকে।

তুরস্কের সীমান্তে কোনো অনিয়মিত অভিবাসন প্রবাহ এখনো লক্ষ্য করা না গেলেও দেশটি সীমান্ত নিরাপত্তা ও নজরদারির মাত্রা বাড়িয়েছে বলে জানানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ পদক্ষেপ আঞ্চলিক যুদ্ধের আশঙ্কা আরও জোরালো করছে।

উল্লেখ্য, ইসরাইল-ইরান সরাসরি সংঘাত শুরু হয় ১৩ জুন থেকে। বৃহস্পতিবার সেই সংঘাত ষষ্ঠ দিনে পৌঁছেছে। এরইমধ্যে ইসরাইল দাবি করেছে, তারা ইরানের নাতাঞ্জ ও আরাকের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। এর প্রভাব পড়ে আন্তর্জাতিক বাজারে—বৃহস্পতিবার হঠাৎ করে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি পায়।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে সম্ভাব্য বৃহৎ যুদ্ধ এবং তেল সরবরাহে বিঘ্নের আশঙ্কায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে চরম উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, “ইসরাইল এখন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চাইছে, যা তাদের দুর্বলতা ও অক্ষমতার প্রতিফলন।” তিনি আরও বলেন, “আমার দেশবাসীকে আমি বলতে চাই— শত্রু যদি বুঝতে পারে যে আপনি ভয় পেয়েছেন, তবে তারা থামবে না। আপনারা যেভাবে এখন পর্যন্ত দৃঢ়তা দেখিয়েছেন, সামনে আরও সাহস নিয়ে এগিয়ে যান।”

এর আগে, ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এক বক্তব্যে ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে ‘সরিয়ে দেওয়া’কে যুদ্ধের অন্যতম লক্ষ্য বলে উল্লেখ করেন। তারই প্রতিক্রিয়ায় খামেনির কণ্ঠে আসে এই দৃঢ় হুঁশিয়ারি।

বর্তমানে দুই দেশের পাল্টাপাল্টি বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইরান ও ইসরাইল উভয়পক্ষেই হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতি দিন দিন আরও জটিল ও অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

রাইসি’র মৃত্যুতে বাংলাদেশে একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক

নূর নিউজ

মালদ্বীপ থেকে সেনা ফেরত আনছে ভারত

নূর নিউজ

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রই একমাত্র সমাধান: শি জিনপিং

নূর নিউজ