ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুস আহমাদ ২৩ জুলাই এক বিবৃতিতে বলেছেন, রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুলে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় জনমনে নানা প্রশ্ন ও সন্দেহ তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, “দুঃখজনকভাবে, ফ্যাসিবাদী শাসনের মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর প্রচারণার কারণে জনগণ আজ রাষ্ট্রীয় তথ্যেও আস্থা রাখতে পারছে না। এই গণ-অবিশ্বাস রাষ্ট্র ও নাগরিকের সম্পর্কের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে উঠেছে।”
তিনি আরও বলেন, এই অবিশ্বাস কাটাতে এবং ঘটনার প্রকৃত চিত্র সামনে আনতে একটি স্বচ্ছ তদন্ত কমিটি গঠন করা জরুরি, যাতে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বিশেষ করে মাইলস্টোন স্কুলের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা এই কমিটিতে থাকলে হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা নির্ধারণ সহজ হবে।
মাওলানা ইউনুস আহমাদ আরও বলেন, “মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে শুরু থেকেই জনমনে প্রশ্ন রয়েছে। আহতদের সংখ্যা ও অবস্থাও পরিষ্কার নয়। বিমানটির ফিটনেস, পাইলটের দক্ষতা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও সন্দেহ তৈরি হয়েছে। এসব প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানা রাষ্ট্র ও নাগরিক সবার স্বার্থে জরুরি।”
তিনি উল্লেখ করেন, বিমান বাহিনীতে দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে বিভিন্ন সময়ে সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এ অবস্থায় সামরিক খাতের, বিশেষ করে বিমান বাহিনীর ক্রয় ও ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত অভিযোগগুলো এখনই তদন্ত করা উচিত। তিনি বলেন, “আমরা চাই আমাদের সেনাবাহিনী প্রশ্নাতীত সম্মান লাভ করুক এবং তাদের সদস্যদের জীবন ঝুঁকির মুখে না পড়ুক। এজন্য প্রয়োজন সামগ্রিকভাবে প্রশিক্ষণ বিমান, অস্ত্র ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জামের মান ও নিরাপত্তা বিষয়ক একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত।”
তিনি আরও বলেন, এই তদন্ত বিচার বিভাগীয় হতে পারে, যাতে নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা বজায় থাকে।
অধ্যক্ষ ইউনুস আহমাদ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি সরকার এই ঘটনায় আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ প্রদানে আন্তরিক হবে। একটি মানবিক ও দায়িত্বশীল দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।”