হেলিকপ্টার থেকে গুলির নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা, আদালতে প্রমাণিত

চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে বলেছেন, জুলাই-অগাস্ট আন্দোলনের সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরাসরি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি হেলিকপ্টার থেকে অবস্থান শনাক্ত করে গুলি চালানোর নির্দেশও দিয়েছেন।

প্রসিকিউটর জানান, শেখ হাসিনার সঙ্গে হাসানুল হক ইনু, শেখ ফজলে নূর তাপস ও এস এম মাকসুদ কামালের কথোপকথনের অডিও আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। অডিওতে শেখ হাসিনার কণ্ঠ সঠিক এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহার করা হয়নি বলে ফরেনসিক পরীক্ষা নিশ্চিত করেছে। একইভাবে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাও কণ্ঠ স্বীকার করেছেন।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, “প্রধানমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে টেলিফোনে নির্দেশ দিয়েছেন, যা তদানীন্তন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে সর্বত্র পৌঁছে গেছে। এর ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। এই ঘটনার প্রমাণ আমরা লাইভ সাক্ষী, ডকুমেন্টারি, ভিডিও ফুটেজ, পত্রপত্রিকা রিপোর্ট এবং নিহত ও আহতদের শরীর থেকে উদ্ধার করা বুলেটের মাধ্যমে আদালতে দেখিয়েছি।”

তিনি আরও বলেন, এই হত্যাকাণ্ড ‘ওয়াইডস্প্রেড’ এবং ‘সিস্টেমেটিক’, যা আন্তর্জাতিক ও দেশীয় আইন অনুযায়ী মানবতাবিরোধী অপরাধের শর্ত পূরণ করে। হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালানোর সময় ব্যবহৃত ফ্লাইট, পাইলট ও যাত্রীদের তথ্য, ব্যবহৃত অস্ত্র ও রাউন্ডের হিসাব আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, “মামলার প্রমাণ এতটা সুনির্দিষ্ট যে এটি আন্তর্জাতিক যে কোনো আদালতে অকাট্যভাবে প্রমাণ হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে।”

মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ রয়েছে। গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করা হয়।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

শিগগিরই সমন্বয় হবে সয়াবিন তেলের দাম : বাণিজ্যমন্ত্রী

নূর নিউজ

সেপ্টেম্বরে বঙ্গবন্ধু টানেলের উদ্বোধন

নূর নিউজ

ছাত্র প্রতিনিধিদের সরকারে আসা সঠিক হয়নি: সালাহউদ্দিন আহমদ

আনসারুল হক