তিনি সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিস সংক্রান্ত চুক্তিকে কেন্দ্র করে করণীয় নির্ধারণ’ শীর্ষক একটি গোলটেবিল আলোচনায় এসব কথাব বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিস স্থাপনের বিষয়ে আমরাও উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশের চেয়ে ফিলিস্তিনসহ অনেক দেশে বেশি মানবাধিকার লংঘন হচ্ছে, সেসব দেশে এই অফিস স্থাপন হয়নি।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সময়ে দেশে ব্যাপক মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা ঘটেছে। একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গুম, খুন, বিচারবহির্ভুত হত্যাসহ নানাভাবে ৭ হাজার ৮৬১ জন নির্যাতিত হয়েছেন। এটা প্রকৃত সংখ্যা নয়। শাপলা চত্ত্বরের হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। সেখানে কতজন হত্যাকাণ্ড হয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের সময় ব্যাপক হত্যাকাণ্ড ও মানবাধিকার লংঘন হয়েছে। এসব কারণে জাতিসংঘ মনে করেছে, এখানে একটি অফিস স্থাপন করা উচিত।
তবে বৃহত্তর পরিসরে এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে চুক্তি হলে এ ধরণের বিতর্ক হতো না। তবে তিন বছরের এ চুক্তি এক/দুই বছর পর রিভিউয়ের সুযোগ আছে। সরকার যেন যাচাই বাছাই করে পুন:বিবেচনা করেন।
এ সময় বাংলাদেশে খেলাফত আন্দোলনের আমির ও হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করে সরকার যদি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি খোলসা করে তাহলে হেফাজত তাতে স্বাগত জানাবে। তবে দেশ ও ইসলামের স্বার্থে আমরা কারও দিকে তাকিয়ে কথা বলতে পারব না। এ বিষয়ে শক্ত অবস্থান নিতে হেফাজত কুণ্ঠিত হবে না।
হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনটির নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রব ইউসূফী, মাওলানা সালাহউদ্দিন নানুপুরী, মাওলানা মাহফুজুল হক, এবি পার্টির সভাপতি মজিবুর রহমান মঞ্জু, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর, হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দিন আহমদ প্রমুখ।