পাঞ্জশিরে সংঘাত : আফগানিস্তানে গৃহযুদ্ধের শঙ্কা যুক্তরাষ্ট্রের

দীর্ঘ বিরতির পর রাজনৈতিক পালাবদলের ফলে যুদ্ধবিধ্বস্ত রাষ্ট্র আফগানিস্তানের পাঞ্জশিরে যে সংঘাত শুরু হয়েছে, তা অদূর ভবিষ্যতে দেশটিকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেবে বলে মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা জেনারেল মার্ক মিলি। খবর রয়টার্সের।

গতকাল শনিবার জার্মানির রামস্টেইন বিমান ঘাঁটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন মার্কিন সামরিক বাহিনীর এই জেনারেল। সাক্ষাৎকারে পাঞ্জশির প্রদেশে তালেবান বাহিনী ও ন্যাশনাল রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টের (এনআরএফ) মধ্যকার সংঘাতকে ইঙ্গিত করেন মার্ক মিলি।

যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর জ্যেষ্ঠ এই যুগ্ম সেনাপ্রধান বলেছেন, ‘আমার সামরিক অভিজ্ঞতা বলছে, সম্প্রতি আফগানিস্তানে যে পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে, তা অদূর ভবিষ্যতে গৃহযুদ্ধে রূপ নিতে পারে। সংঘাতে কবলিত দেশটির সব শক্তিকে একত্রিত করে তালেবান বাহিনী আদৌ একটি সরকার গঠন করতে পারবে কি না- তা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।’

আফগান ভূখণ্ডে যদি গৃহযুদ্ধ শুরু হয় সেক্ষেত্রে আগামী বছর তিনেকের মধ্যে দেশটি আন্তর্জাতিক জঙ্গিবাদের কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে। এ সম্পর্কে মার্ক মিলি বলেন, দেশটিতে যদি গৃহযুদ্ধ শুরু হয়, আল-কায়দা নেটওয়ার্ক আবার নিজেদের সংগঠিত করা শুরু করবে। এমনকি আইএসও কখনো চুপচাপ বসে থাকবে না।

তার মতে, আর এই দুই সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর প্রভাবে আফগানিস্তানসহ বিশ্বজুড়ে অসংখ্য উগ্রবাদী গোষ্ঠী জন্ম নিবে।

আফগানিস্তানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় পাঞ্জশির প্রদেশে গেল এক সপ্তাহে তালেবান বাহিনী ও এনআরএফ যোদ্ধাদের মধ্যে তীব্র সংঘাত চলছে। তালেবান বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর জোট নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের সাবেক নেতা আহমদ শাহ মাসুদের ছেলে আহমাদ মাসুদ ও আফগানিস্তানের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহর অনুগত বাহিনী এবং আফগান সামরিক বাহিনীর তালেবান বিরোধী সদস্যদের নিয়ে গঠিত এনআরএফের বর্তমান যোদ্ধার সংখ্যা কয়েক হাজার।

যদিও এবারের যুদ্ধে ঠিক কোন পক্ষ সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে, তা এখনো স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে না। কারণ তালেবান ও এনআরএফ- উভয়ই দাবি করছে এই যুদ্ধে তারা অপরপক্ষের চেয়ে সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে।

রোববার এক টুইট বার্তায় তালেবান মুখপাত্র বিলাল কারিমি বলেন, মুজাহিদিনরা (তালেবান বাহিনী) ক্রমশ ভারি অস্ত্র নিয়ে পাঞ্জশিরের কেন্দ্রীয় রাজধানীর দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

অপর দিকে এনআরএফ মুখপাত্র ও আহমাদ মাসুদের অনুগত বাহিনীর জ্যেষ্ঠ সদস্য ফাহিম দাশতি রয়টার্সের কাছে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, পাঞ্জশিরের খাওয়াক পাস উপত্যকায় বর্তমানে তালেবান বাহিনীর কয়েক হাজার সদস্য আটকে রয়েছে। এমনকি প্রদেশের দাশতে রেওয়াক এলাকার তালেবান যোদ্ধারা তাদের অস্ত্রশস্ত্র ও যানবাহন ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

ইরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড দিয়ে দুই বন্দিকে ছাড়িয়ে নিল যুক্তরাজ্য

নূর নিউজ

শবে বরাতে কাবা প্রাঙ্গণে ২৫ লাখের মুসল্লির সমাগম

নূর নিউজ

রাশিয়া-ইউক্রেনে ঝড়ের তাণ্ডব, বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন ২০ লাখ মানুষ

নূর নিউজ