নজরদারির অভাবে ভয়াবহ অনৈতিকতায় জড়িয়ে পড়ছে মহিলা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদ, নূর নিউজ

বেসরকারি একটি টেলিভিশন কর্তৃক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের পর নড়ে চড়ে বসেছে দেশের কওমি মহিলা মাদ্রাসা সংশ্লিষ্টরা। অনেকেই নিজ অপকর্ম প্রকাশিত হওয়ার ভয়ে রয়েছেন, আবার অনেকেই ধর্মীয় এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার শঙ্কায় আছেন। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন মহিলা মাদ্রাসা সংস্করণের সময় এখনই। অন্যথায় দিতে হবে চড়ামূল্য।

ঢাকার সর্ব প্রাচীন মহিলা মাদ্রাসা ইসলাহুন নিসা মহিলা মাদ্রাসার মহাপরিচালক মাওলানা জুনায়েদ খন্দকার বলেন, যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে মহিলা মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষকে বেফাক থেকে ছাড়পত্র দেয়া জরুরি। অন্যথায় যে কেউ এসে মহিলা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে। যার ফলে ভিন্ন উদ্দেশ্য নিয়ে কেউ চাইলেই মহিলা মাদ্রাসা করতে পারে। এ বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করতে হবে। মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার পূর্বে অবশ্যই বেফাকের ছাড়পত্র লাগবে। এবং বেফাকও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে ছাড়পত্র দেবে। এভাবে নিয়ম-নীতি অনুসরণ করা না হলে আমাদের সামনের দিনগুলো আরো বেশি কঠিন হবে।

তালাশের সেই অনুসন্ধানী উঠে আসে পাঠদানের সময় কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার বিষয়টি। এই সমস্যার সমাধানে শুধুমাত্র মহিলা শিক্ষিকা দ্বারা পাঠদানের পরামর্শ ঢাকা জেলার সর্ব প্রাচীন মহিলা মাদ্রাসার মহাপরিচালকের।

অন্যদিকে মহিলা মাদ্রাসা গুলোতে আয় ব্যয়ের হিসাব, ও একই ভবনে একাধিক মহিলা মাদ্রাসার উপস্থিতি শোভনীয় নয় বলেও মনে করেন তিনি।‌ তবে সকল কওমি মহিলা মাদ্রাসাকে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বলতে নারাজ তারা।

মুহাদ্দিস ও গবেষক আলেম মুফতি সুলতান মাহমুদ মনে করেন, বর্তমান বাজারে মহিলা মাদ্রাসা গুলোকে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বলা যায় না। ‌মোটা অংকের বাড়ি ভাড়া দিতে হয় তাদের। তাই কারো কারো উদ্দেশ্য খারাপ হতেও পারে কিন্তু তাই বলে কমার্শিয়াল বলাটা কঠিন।

অন্যদিকে তালাশের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসা মাওলানা এরশাদের কুকীর্তির যথাযথ তদন্তের দাবি তাদের। এক্ষেত্রে বেফাকের পক্ষ থেকে যথাযথ পদক্ষেপ চান তারা। তারা বলেন, আমরা চাই একটি সুষ্ঠু তদন্ত করা হোক। এর মাধ্যমে আসল সত্য বেরিয়ে আসবে বলে আমরা প্রত্যাশা রাখি।

বাংলাদেশে কওমি মাদ্রাসাগুলো‌ ধর্মীয় শিক্ষার প্রসারে কাজ করার কথা থাকলেও হর হামেশাই এখন বেরিয়ে আসছে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। এমন সময়ে শিক্ষা সিলেবাস ও শিক্ষাদান পদ্ধতি পরিবর্তন করে নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়ন ও নারীদের নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

সমমনা ইসলামী দলসমূহের সঙ্গে সমঝোতায় সম্মত ইসলামী ঐক্যজোট

আনসারুল হক

আইয়ামে বিজ কেন গুরুত্বপূর্ণ?

নূর নিউজ

২০২০ সালে আরব আমিরাতে ৩,১৮৪ জনের ইসলাম গ্রহণ

আনসারুল হক