জান্নাতের পথে কিসের বাধা?

মহান রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে সৃষ্টি করছেন তাঁর ইবাদত-বন্দেগি করার জন্য। ইবাদাত করে তাঁকে সন্তুষ্ট করতে পারলে পরজীবনে আমরা (চিরস্থায়ী সুখের ঠিকানা) জান্নাতের বাসিন্দা হতে পারবো। আর দুনিয়ার জীবনে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সাঃ) অবাধ্য হলে ( কঠিন শাস্তির ঠিকানা) জাহান্নামের লাকড়ি হতে হবে। (উপরোক্ত কথাগুলো পবিত্র কুরআনের সুরা জারিয়াত৫৬,কাহাফ১০৭, জ্বিন২৩নং আয়াতসমূহের মর্মার্থ)।

অন্য দিকে নবীজি সাঃ বলেন, “ইমানদারগণ ছাড়া কেউই জান্নতে যেতে পাবে না” -মুসলিমঃ১/৭৪পৃঃ।

এখনে এসে কারো কারো মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, জান্নাত যদি ইমানদারগণের জন্যই বানিয়ে থাকেন তাহলে আবার কেন সেই ইমানদারগণকেই জাহান্নাম থেকে নিজেদেরকে বাঁচানোর জন্য (সুরা তাহরিমের ৬নং আয়াতে) সতর্কবাণী করলেন?

উত্তরঃ- এই আয়াতের ব্যাখ্যায় মুফাসসেরীন কেরামগণ বলেন যে, শুধুমাত্র ইমান নিয়ে মৃত্যুর সাথে সাথেই কেউ জান্নাতে যেতে পারবে না, যদি তার পাপের বোঝা ভারি হয়ে থাকে, এজন্যই অন্নত্রে আল্লাহ পাক বলেন, “তোমরা প্রকাশ্য এবং গোপন (সকল প্রকার) গোনাহ-পাপাচার থেকে বেচে থাক” -সুরা আনআম১২০আয়াত।

তাই মনে রাখতে হবে যে, ইমান-আমল থাকার পরেও নিজের জীবনের কৃত পাপাচারগুলোই জান্নাতে যাওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করে থাকে। যে কারণে নেক আমলের মেহনতটাই অকার্যকর হয়ে যায়।

যেই সকল গোনাহে কবিরাহ্ বা পাপাচারসমূহ আমাদেরকে জান্নাতে যাওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করে থাকে, তা প্রধানত তিন প্রকার, যথা-

১. হাক্কুল্লাহ্-আল্লাহর পাওনা (শিরকমুক্ত ইবাদাতের মাধ্যমে তাঁর সন্তুষ্টি) আদায় করতে না পারা।

২. হাক্কুলইবাদ- বান্দার পাওনা আদায় না করে দুনিয়া থেকে বিদায় হওয়া।

৩. হিমাল্লাহ্- আল্লাহর পক্ষ থেকে দেয়া (হালাল/হারাম বিষয়ক) সীমারেখা অতিক্রম করা।

অতএব আমরা যদি জান্নাতের আশা করি তাহলে উল্লেখ্য বিষয়াদী থেকে অবশ্যই বেঁচে থাকতে হবে।

আল্লাহ আমাদেরকে তৌফিক দান করুন, আমিন।

 

লিখেছেন

মাওলানা ফায়জুল্লাহ মুন্সী

ইমাম ও খতীব, সুহিলপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ।

শিক্ষা সচিব, মাদরাসাতুল ফালাহ আল ইসলামিয়া সুহিলপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

যখন ভয় পাই, তখন আমি আল্লাহর নাম নেই : মুসকান খান

আনসারুল হক

সমমনা ইসলামী দলসমূহের সঙ্গে সমঝোতায় সম্মত ইসলামী ঐক্যজোট

আনসারুল হক

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আন-নূর হেল্পিং হ্যান্ড বাংলাদেশ-এর কুরবানীর গোশত বিতরণ

আনসারুল হক