শীতে এসি বন্ধ রাখার আগে যে কাজগুলো করবেন

গরমের সময়ে প্রাণ জুড়াতে এসির বিকল্প নেই। অনেকেই গরমে অতিষ্ঠ হয়ে দ্বারস্থ হচ্ছেন এয়ার কন্ডিশনার বা এসির। অনেক আগে এটি কেবল উচ্চবিত্তদের ব্যবহার্য মনে হলেও বর্তমানে মধ্যবিত্তরা দেদারসে কিনছেন। প্রকৃতির পালা পরিবর্তনে এসেছে শীত। এসময় এসির তেমন কোনো প্রয়োজন হয় না বললেই চলে। যে কারণে একটা দীর্ঘ সময় এসি বন্ধ করে রাখেন বেশিরভাগ ব্যবহারকারীই। কিন্তু আপনি জানেন কি, এসি বন্ধ রাখার আগে আপনাকে কিছু কাজ অবশ্যই করতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

শীতের সময়ে এসি বন্ধ রাখার আগে সবার আগে যে কাজটি করতে হবে, সেটি হলো এসি আনপ্লাগ করে রাখা। এতে করে শর্ট সার্কিটের ভয় থাকবে না। পরিষ্কার করার সময় এসির ফিল্টার দিয়ে শুরু করুন। স্প্লিট এসি হলে সামনের ঢাকনাটা আলতো করে তুলে ফিল্টার বের করে নিলেই হবে। উইন্ডো এসির ক্ষেত্রে ফ্রন্ট প্যানেল খুলে এটি বের করতে হবে। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে নরম পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে লাগিয়ে দিতে হবে।

এসির ভেতরে থাকে ইভাপোরেটর কয়েল আর বাইরে থাকে কনডেনসার কয়েল। দু’টিই সাফ রাখা প্রয়োজন। স্প্লিট এসি হলে সামনের ঢাকনাটা আলতো করে তুলে একটা নরম পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ইভাপোরেটর কয়েল মুছে নিতে হবে। আউটডোর ইউনিটের ক্ষেত্রে কয়েল ক্লিনার স্প্রে ব্যবহার করলে ভালো হয়, কেন না কনডেনসার কয়েলে ধুলা বেশি জমে।

অনেকেই নিশ্চয়ই দেখেছেন সার্ভিসিংয়ের সময়ে ইঞ্জিনিয়াররা একটি টুথব্রাশ দিয়ে এসির ভেতরে একটি স্থান পরিষ্কার করেন। ওই স্থানকে বলা হয় ফিন। আমাদেরকেও টুথব্রাশ দিয়ে একই কাজ করতে হবে। কোনো ফিনে বেন্ট থাকলে ফিন কম্ব দিয়ে তা আলতো করে সোজা করে দিতে হবে। এসির আর্দ্রতা যে অংশ শুষে নেয়, তাকে বলে কনডেনসেশন লাইন। জায়গাটি খুঁজে বের করে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে জমে থাকা ময়লা টেনে বের করে আনতে হবে।

এবার আসা যাক আউটডোর ইউনিটে। এই স্থানে ময়লা জমে সবচেয়ে বেশি। তাই স্থানটি পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। একটি পাইপ দিয়ে পানি ছিটিয়ে ধোয়া যায়। তবে খুব বেশি পানি দেওয়া চলবে না, তাতে মেশিনের ক্ষতি হতে পারে। বাকি থাকে কেবল দু’টি কাজ। এবার ইনডোর আর আউটডোর দুই ইউনিট ঢেকে রাখতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়। তাতে ধুলা-বালি জমবে না।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

কোলেস্টেরল বাড়ছে? ইঙ্গিত থাকে চোখে

নূর নিউজ

টেস্ট কিট ক্রয় দ্বিগুণ করার ঘোষণা প্রেসিডেন্ট বাইডেনের

নূর নিউজ

যে কারণে শীতে আদা খাবেন

নূর নিউজ