আজ ১লা মে’০২৫, বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশের সকল জেলা শাখায় বর্ণাঢ্য র্যালি, সমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিভিন্ন সমাবেশ ও আলোচনায় যোগ দেন ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি, সেক্রেটারিসহ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।
গাজীপুরে অনুষ্ঠিত শ্রমিক সমাবেশ ও মিছিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্মমহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, ইসলামী শ্রমনীতি ছাড়া যে শ্রমিকের মুক্তি সম্ভব না তা আজ প্রমানিত। স্বাধীনতার এতোগুলো বছর পরেও বিদ্যমান শ্রম নীতিমালাই বাস্তবায়ন করা যায় নাই। দেশের অর্থনীতির আকার বড় হয়েছে, জিডিপির আকার বড় হয়েছে কিন্তু শ্রমিকের ভাগ্যের পরিবর্তন হয় না। টাকার অংকে শ্রমিকের বেতন বৃদ্ধি হলেও মূল্যস্ফীতির কারণে প্রকৃত মজুরী বরং আরো কমেছে। এই বাস্তবতায় রাষ্ট্র পরিচালনায় ইসলামকে ভিত্তি বানাতে না পারলে শ্রমিকের ভাগ্য কোন দিনই পরিবর্তন হবে না।
ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা খলিলুর রহমান সেনবাগে তার নির্বাচনী এলাকায় এক শ্রমিক-জনতা সমাবেশে বলেন, ইসলামী শ্রম আইন বাস্তবায়নে সামগ্রিক আন্দোলন করা ছাড়া শ্রমিকের সামনে আর কোন পথ নাই। ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন সেই পথেই হাটবে; ইনশাআল্লাহ।
সারা দেশের বিভিন্ন জেলা ও থানায় শান্তিপূর্ণ, সুশৃঙ্খল ও সুষ্ঠুভাবে শ্রমিক সমাবেশ সম্পন্ন করায় ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগ, জেলা, থানা-উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ, কর্মী, শুভানুধ্যায়ী ও সর্বস্তরের শ্রমিক জনতার প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন।
ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনে কেন্দ্রীয় সভাপতি বলেন, “আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস কেবল একটি দিন নয়, বরং শ্রমজীবী মানুষের অধিকার, মর্যাদা ও ন্যায্যতার প্রতীক। ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ শুরু থেকেই এই চেতনাকে ধারণ করে শ্রমজীবী জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। এবারের দিবস উপলক্ষে দেশব্যাপী যে উদ্দীপনা ও অংশগ্রহণ আমরা দেখেছি, তা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক ও অনুপ্রেরণাদায়ক।”
তিনি আরও বলেন, “এই ঐক্যবদ্ধ কার্যক্রম আমাদের ভবিষ্যৎ পথচলায় আরও গতিশীলতা আনবে এবং শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য দাবি আদায়ে আমাদের আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করবে, ইনশাআল্লাহ।”
আগামী দিনগুলোতেও একই ধারাবাহিকতায় সংগঠনের কার্যক্রমকে জোরদার করতে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
যেসকল জেলায় আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসের কর্মসূচি পালিত হয়েছে- ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, জামালপুর, নেত্রকোনা, শেরপুর, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ,মাদারীপুর, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, নড়াইল, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, জয়পুরহাট, রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, মাগুরা, মেঘনাঘাট সাংগঠনিক জেলা সমূহ।