আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে “কুরবানী শীর্ষক ফিকহী সেমিনার” অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১ জুন) রাজধানীর কাফরুল, পূর্ব কাজীপাড়াস্থ ৮৮১ নম্বর ঠিকানায় অবস্থিত মারকাযুদ্ দিরাসাহ ইসলামিয়া প্রাঙ্গণে এ সেমিনার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয় মুফতী বোর্ড।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও জামিয়া রহিমিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর-এর শায়খুল হাদীস মুফতী খোরশেদ আলম কাসেমী।
প্রধান অতিথি হিসেবে ভিডিও বক্তব্য রাখেন বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান ও বসুধা গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুফতী আব্দুল হান্নান ফয়েজী।
সেমিনারের উদ্বোধনী বক্তব্য দেন বোর্ডের যুগ্ম মহাসচিব ও মারকাযুদ্ দিরাসাহ ইসলামিয়ার প্রিন্সিপাল মুফতী মামুন আব্দুল্লাহ্ কাসেমী।
সঞ্চালনায় ছিলেন মুফতী সাঈদ কাদির।
সেমিনারে আমন্ত্রিত আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—
শাইখুল হাদীস মুফতী আব্দুল মতিন আহমদী, সভাপতি বাংলাদেশ জাতীয় মুফতী বোর্ড ঢাকা মহানগর ও শিকারপু মাদ্রাসা, বগুড়া।
মুফতী আবু বকর সিদ্দিক, মুহতামিম, রওজাতুল উলুম মাদ্রাসা, সি ব্লক, কালশি, মিরপুর-১১।
এছাড়া মারকাযুদ্ দিরাসাহ ইসলামিয়ার শিক্ষক মুফতী ইমদাদুল্লাহ ও মুফতী লিয়াকত আলী কুরবানির শরয়ী মাসায়ালা নিয়ে লিখিত প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
সেমিনারে পবিত্র কোরবানির উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় মুফতি বোর্ডের উদ্যোগে কোরবানির সংক্রান্ত মাসয়ালা মাসায়েল নিয়ে একটি প্রসপেক্টাসের মোড়ক উম্মোচন হয়েছে।
বক্তাদের বক্তব্য:
প্রধান অতিথির ভিডিও বক্তব্যে মুফতী আব্দুল হান্নান ফয়েজী বলেন, “কুরবানির চামড়া ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক উপাদান। এই খাতে বিশৃঙ্খলা ও দাম কমিয়ে দেওয়া অত্যন্ত অমানবিক ও অনৈতিহাসিক। সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কুরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্য মূল্য নির্ধারণে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।”
সভাপতির বক্তব্যে মুফতী খোরশেদ আলম কাসেমী বলেন, “কুরবানীর মাসআলা-মাসায়েল জেনে-বুঝে পালন করা প্রতিটি মুসলমানের দায়িত্ব। ইচ্ছেমতো ফতোয়া বা বিভ্রান্তিকর মত প্রচার থেকে বিরত থাকতে হবে। এই সেমিনারের মাধ্যমে মানুষ সঠিক দিকনির্দেশনা পাবে।”
উদ্বোধনী বক্তৃতায় মুফতী মামুন আব্দুল্লাহ্ কাসেমী বলেন, “ফিকহী শিক্ষার আলোয় কুরবানী শুদ্ধভাবে সম্পন্ন করা মুসলিম সমাজের ঈমানি দায়িত্ব। শরীয়তের আলোকে প্রাপ্ত মাসআলা নিয়ে এই আয়োজন অত্যন্ত সময়োপযোগী।”
সেমিনারে কুরবানীর শরয়ী বিধান, সমসাময়িক জটিলতা এবং করণীয় বিষয়সমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। উপস্থিত আলেমগণ বিশুদ্ধ আকীদা ও ফিকহ অনুযায়ী সঠিক কুরবানী পালনের বিষয়ে অংশগ্রহণকারীদের দিকনির্দেশনা দেন।
অনুষ্ঠানে বোর্ডের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্য, আলেম, মাদরাসা শিক্ষার্থী এবং সাধারণ সচেতন মুসলিম নাগরিকগণ অংশগ্রহণ করেন।