পদ্মার ভাঙনে দিশেহারা কয়েক হাজার মানুষ

টানা বর্ষণ ও পদ্মা নদীর প্রবল স্রোতে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পদ্মা সেতু প্রকল্পসংলগ্ন এলাকায় ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। সোমবার (৭ জুলাই) বিকেলে মাত্র দুই ঘণ্টার ব্যবধানে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে অন্তত পাঁচটি বসতবাড়ি ও পাঁচটি দোকান। ভাঙনের আতঙ্কে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে আরও ১০টি দোকান।

স্থানীয়রা জানান, বিকেল ৪টার দিকে হঠাৎ করে ভাঙন শুরু হয়। মুহূর্তেই চোখের সামনে বাড়িঘর নদীতে ভেঙে পড়ে। কেউ মালপত্র সরাতে পারলেও অনেকেই সব হারিয়েছেন।

জানা গেছে, ২০১০-১১ অর্থবছরে সেতু প্রকল্পের সুরক্ষায় প্রায় ১১০ কোটি টাকা ব্যয়ে দুই কিলোমিটার দীর্ঘ একটি কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড বাঁধ নির্মাণ করে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে বাঁধে ধস শুরু হয়। এরপর ধ্বংসপ্রাপ্ত অংশ পুনর্গঠনে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জিওব্যাগ ও সিসি ব্লক ফেলার কাজ শুরু করে, যার ব্যয় ধরা হয় ২ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।

তবে চলতি বছর ঈদের দিনেই পুনর্নির্মিত বাঁধের ১০০ মিটার অংশসহ আশপাশের আরও ১৫০ মিটার নদীগর্ভে তলিয়ে যায়। পরে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় আবার জিওব্যাগ ফেলা হয়।

ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম বলেন, “আকস্মিক ভাঙনে শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না, পরিবার-পরিজন দিয়েই মালামাল সরাতে হচ্ছে। অনেক ক্ষতির মুখে পড়েছি।”

স্থানীয়দের অভিযোগ, বাঁধের বারবার ধসে পড়া সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাব ও দুর্বল নির্মাণকাজের ফল।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

নীলক্ষেতে বইয়ের মার্কেটে ভয়াবহ আগুন

নূর নিউজ

তুরস্কে উদ্ধার কাজ শেষে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশের ৬১ সদস্যের উদ্ধারকারী দল

নূর নিউজ

বরুণার পীর আল্লামা খলিলুর রহমান হামিদীর ইন্তেকাল

আনসারুল হক